দিনটা খারাপ গেল কোহালির। রাহুলের ক্যাচ ছাড়লেন, লজ্জাজনক ভাবে ম্যাচও হারলেন। ছবি-আইপিএল থেকে।
বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে দুমড়ে মুচড়ে দিল লোকেশ রাহুলের কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। ৯৭ রানে ম্যাচ হারার লজ্জায় মুখ ঢাকতে হল ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ককে।
গোটা ম্যাচে কিছুই ঠিকঠাক হল না কোহালিদের। ডেল স্টেন-নবদীপ সাইনিরা শান্ত রাখতে পারলেন না পঞ্জাব অধিনায়ককে। পঞ্জাবের রান তাড়া করতে নেমে ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটসম্যানরা এলেন আর গেলেন। আরও লজ্জার ব্যাপার হল, রাহুলের ব্যক্তিগত ১৩২ রানও টপকাতে পারল না কোহালি-এবি ডিভিলিয়ার্স-অ্যারন ফিঞ্চ সমৃদ্ধ দুরন্ত ব্যাটিং লাইন আপ। মাত্র ৬৯ বলে রাহুলের বিধ্বংসী ১৩২ রানের সৌজন্যে পঞ্জাব ২০৬ রানের পাহাড়ে চড়ে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাঙ্গালোরের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১০৯ রানে।
কাগজে কলমে দারুণ শক্তিশালী ব্যাটিং ব্যাঙ্গালোরের। ২০১৭ সালের আইপিএলে সেই দলকেই ৪৯ রানে ইডেন গার্ডেন্সে মুড়িয়ে দিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এ দিন ব্যাঙ্গালোরের আত্মবিশ্বাস চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিল পঞ্জাব। এই হারের শোক ভুলে পরের ম্যাচগুলোয় ঘুরে দাঁড়ানোই এখন কোহালিদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হেরে গিয়েছিল পঞ্জাব। সেই ম্যাচে রাহুল করেছিলেন ১৯ বলে ২১ রান। সুপার ওভারে রাবাদার বলে আউট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এদিন যেন তারই প্রায়শ্চিত্ত করলেন পঞ্জাব অধিনায়ক। ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে শেষ ওভার পর্যন্ত উইকেটে টিকে থাকলেন। মারলেন ১৪টি বাউন্ডারি ও সাতটি ছক্কা। ২০ তম ওভারের শেষ বলটিও উড়ে গেল গ্যালারিতে।
আরও পড়ুন: জোন্সের মৃত্যুতে হতবাক ক্রিকেটবিশ্ব, টুইট কোহালি-ভিভের
কোহালির দলের বিরুদ্ধে ১৩২ রান করার পথে রাহুল অবশ্য দু’বার জীবন পেয়েছেন। দু’বারই তাঁর ক্যাচ ফেলেছেন কোহালি স্বয়ং। একবার ৮৩ রানে। দ্বিতীয়বার ৮৯ রানে।জীবন পাওয়ার পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি ভারতীয় দলে কোহালির সতীর্থকে। ইনিংসের শেষ ৩টি ওভারে ৬০ রান নেন রাহুল। ওই তিন ওভারই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিল ব্যাঙ্গালোরকে।
রাহুলের দুরন্ত ইনিংস।
বিপক্ষে ডেল স্টেন, উমেশ যাদব, নবদীপ সাইনির মতো জোরে বোলার। ওপেন করতে নেমে শুরুতে ইনিংস গোছান রাহুল। শুরুর দিকে বড় শট খেলার দিকে ঝোঁকেননি। ক্রিজে হনিমুন পিরিয়ড কাটিয়ে ওঠার পরেই রাহুল স্বমূর্তি ধরেন। ইনিংস যত গড়াতে থাকে, ততই পঞ্জাব অধিনায়কের ব্যাট ঝলসাতে থাকে। ব্যাঙ্গালোরের বোলারদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেছেন রাহুল। হতে পারে টি ২০ ক্রিকেট। তা বলে একটিও অক্রিকেটীয় শট খেলেননি তিনি। প্রতিটি শটের পিছনেই ছিল ক্রিকেট। পরিভাষায়, সমস্তই ‘ক্লিন হিট’। জীবন ফিরে পাওয়ার পরে গিয়ার আরও চড়িয়ে দেন রাহুল। দেখে মনে হয়েছে, স্টেন-সাইনিরা কোথায় বল ফেলবেন, সেটাই ধরতে পারেননি। কখনও শর্ট বল করে, কখনও গতি কমিয়ে স্লোয়ার দিয়ে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু রাহুলকে দমানো যায়নি। প্রসঙ্গত, এই আইপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি এল রাহুলের ব্যাট থেকেই।
পঞ্জাবের এই পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে কিছুই ঠিকঠাক হল না ব্যাঙ্গালোরের। ফিঞ্চ করলেন ২০, অধিনায়ক কোহালিকে মাত্র ১ রানে ফেরত পাঠালেন কটরেল। খুব কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ বের করে নেওয়ার জন্য বিখ্যাত ডিভিলিয়ার্স করলেন ২৮। ওয়াশিংটন সুন্দর সর্বোচ্চ ৩০ করেন। পঞ্জাবের রবি বিষ্ণোই, মুরুগান অশ্বিনের স্পিনে ঘায়েল হয় ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটিং। দু' জনেই তিনটি করে উইকেট নেন। দুবাইয়ে 'বিরাট' জয় পেল পঞ্জাব।
রবি বিষ্ণোইয়ের স্পিন সামলাতে পারল না ব্যাঙ্গালোর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy