প্রত্যয়ী: আইপিএলে ভাল কিছুরই আশায় আছেন ওয়ার্নার। ফাইল চিত্র
প্রশ্ন: অধিনায়কত্ব ফিরে পেয়ে কেমন লাগছে?
ওয়ার্নার: অবশ্যই ভাল। তবে দলের অধিনায়কত্ব কে করছে, সেটা কিন্তু আমার কাছে বড় ব্যাপার নয়। আমাদের দলে অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার আছে। সবাই মিলে দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
প্র: সানরাইজার্সের মিডল অর্ডার আগের বার সে রকম ভাল খেলতে পারেনি। এ বার সতীর্থদের প্রতি আপনার কী বার্তা থাকবে?
ওয়ার্নার: আগের বার আমার আর জনি বেয়ারস্টোর ওপেনিং জুটি অনেক বেশি সময় খেলেছিল বলে ওরা সে রকম সুযোগ পায়নি। আমি একটা কথাই বলব ছেলেদের। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। উইকেট পড়ে গেলেও নিজেদের উপরে চাপ নেওয়া যাবে না। উল্টে বিপক্ষ বোলারদের চাপে রাখতে হবে। সেটা যে সব সময় বড় শট খেলে করতে হবে, তা নয়। পরিস্থিতি অনুযায়ী এক-দু’রান নিয়েও করা যায়।
প্র: প্রায় ছ’মাস বাইরে থাকার পরে ব্যাট করতে নেমে কোনও সমস্যা হয়েছে?
ওয়ার্নার: একেবারেই নয়। কোনও সমস্যার মুখে পড়িনি। এখন যদি ভাল বল চলে আসে, তা হলে আর কী করার আছে। ভাল বলে যে কেউ আউট হয়ে যেতে পারে।
প্র: আমিরশাহির পিচে স্পিনাররা সাহায্য বেশি পাবে বলে আপনার মনে হয়?
ওয়ার্নার: আমি জানি, আমিরশাহিতে শিশির একটা বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে। রাতের দিকে শিশিরে বল ভিজে গেলে স্পিনারদের বল ধরতে সমস্যা হতে পারে। সেটা স্পিনাররা যত তাড়াতাড়ি সামলে নিতে পারবে, তত ম্যাচের উপরে প্রভাব ফেলবে। আশা করছি, আমাদের ছেলেরা ভিজে বলে অনুশীলন করেছে।
প্র: সানরাইজার্সে তো রশিদ খানের মতো স্পিনার আছে।
ওয়ার্নার: হ্যাঁ। রশিদ একা ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। একটা বড় সুবিধে হল, এখানে প্রচুর ম্যাচ খেলায় রশিদ পিচগুলো হাতের তালুর মতো চেনে। ও জানে কী ভাবে শিশির সামলে বল করতে হবে।
প্র: জৈব সুরক্ষা বলয়ে দু’মাস থেকে খেলা। কতটা কঠিন এই চ্যালেঞ্জ?
ওয়ার্নার: মানসিক ভাবে খুব কঠিন চ্যালেঞ্জ। আমার তিন মেয়ে আর স্ত্রী রয়েছে বাড়িতে। ওদের ছেড়ে থাকাটা খুবই কঠিন। পরিবারের থেকে অনেকটা সময় আমাদের দূরে থাকতে হবে।
প্র: অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের পরে দুবাই। তিন জায়গায় জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার অভিজ্ঞতা কেমন?
ওয়ার্নার: অস্ট্রেলিয়ায় বাইরে গিয়ে গল্ফ খেলার সুযোগ পেয়েছি। গাড়ি চালানোরও সুযোগ ছিল। ইংল্যান্ডেও কিছু বিনোদনমূলক খেলা খেলতে পারতাম। আর হোটেলে সঙ্গে একটা কফি মেশিন আর কফি বিনস থাকত। যা বাড়ির কথা মনে পড়িয়ে দিত।
প্র: আইপিএলে জৈব সুরক্ষার চাপ এড়ানোর জন্য কী রাস্তা নেবেন?
ওয়ার্নার: দলের প্রত্যেককে প্রত্যেকের পাশে থাকতে হবে। দেখতে হবে, কেউ যেন একাকীত্বে না ভোগে। ফাঁকা সময়ে নিজেদের মধ্যে নানা মজাদার খেলা খেলতে হবে। পরে যদি সুযোগ পাওয়া যায়, গল্ফের মতো কিছু আউটডোর স্পোর্টস খেলা যেতে পারে।
প্র: আরসিবির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচটা নিয়ে কী ভাবছেন? বিরাট কোহালির দল এ বার বেশ গোছানো।
ওয়ার্নার: আমাদের দলটাও কিন্তু তিন-চার বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলছে। দলও গোছানো। এই আইপিএলের যে কোনও ম্যাচই ৫০-৫০ অবস্থায় শুরু হবে। সব ক’টা দলই ভাল।
প্র: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচে জফ্রা আর্চার আপনাকে চার বার আউট করেছিল। আইপিএলেও কি সমস্যায় ফেলতে পারে?
ওয়ার্নার: ব্যাটসম্যান তো কোনও না কোনও বোলারের বলে আউট হবে, তাই না? জফ্রা আমাকে চারটে ভাল বল করেছিল। যে কেউ করতে পারত। তা বলে এই নয় যে, নির্দিষ্ট কোনও বোলার আমার দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছে। আইপিএলে দেখা যাক কী হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy