IPL 2019: Reasons behind the wining of Chennai Super Kings against Kolkata Knight Riders dgtl
CSK
ব্যাটিং ব্যর্থতা না খুনে পিচ, নাইটদের হারের আসল কারণ কী?
ঘরের মাঠে মঙ্গলবার কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল চেন্নাই সুপার কিংস। ছ’টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই জিতে পয়েন্ট টেবিলে কেকেআরকে টপকে শীর্ষে উঠে এল সিএসকে।কিন্তু নাইটদের কীভাবে হেলায় হারাল সিএসকে। ঠিক কী কারণে এগিয়ে গেল ধোনির দল?
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:১৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
ঘরের মাঠে মঙ্গলবার কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল চেন্নাই সুপার কিংস। ছ’টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই জিতে পয়েন্ট টেবিলে কেকেআরকে টপকে শীর্ষে উঠে এল সিএসকে। কিন্তু নাইটদের কী ভাবে হেলায় হারাল চেন্নাই? ঠিক কোন জায়গায় এগিয়ে গেল ধোনির দল?
০২১৪
টসে জিতেই এ দিনের ম্যাচের অর্ধেকটা জিতে গিয়েছিলেন ধোনি। চিপকের খুনে পিচে প্রথমে ব্যাট করে টার্গেট সেট করাটা খুব বড় চ্যালেঞ্জ। বোসেই পিচে নাইটদের মাত্র ১০৮ রানে বেঁধে ফেলে বেশির ভাগ কাজ সেরে রাখেন মাহিরা।
০৩১৪
পাঁচ ওভারের মধ্যেই ৪ উইকেট পড়ে যায় কলকাতার। ওপেনার ক্রিস লিনের থেকে পরিণত ইনিংস আশা করেছিল দল। কিন্তু পিচ না বুঝে অবিবেচকের মতো আউট হন তিনি।
০৪১৪
নাইটদের শেষ করে দিল ধোনির শীতল মস্তিষ্কের নেতৃত্বও। প্রত্যেকের জন্য আলাদা পরিকল্পনা ছিল ধোনির। যে ভাবে ফাঁদে ফেলে উথাপ্পাকে আউট করলেন ধোনি, তা তারিফযোগ্য।
০৫১৪
সুনীল নারাইন, নীতীশ রাণা বা রবিন উথাপ্পা, কেউই ক্রিজে থাকতে পারেননি বেশি ক্ষণ। অন্য দিকে দু’প্লেসি ও রায়ুডু সিএসকের হয়ে তৃতীয় উইকেটে ৪৬ রান যোগ করেন।
০৬১৪
৪৪ রানেই পাঁচ উইকেট পড়ে যায় নাইটদের। নবম ওভারেই মাঠে নামতে বাধ্য হন রাসেল। ফলে তিনি তাঁর পরিচিত আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারেননি।
০৭১৪
ঘনঘন উইকেট পড়তে থাকায় স্কোরবোর্ডে বেশি রান তুলতে পারেননি দীনেশ কার্তিকরা। আন্দ্রে রাসেলের ৫০ নট আউট ছাড়া নাইটদের ইনিংসে বলার মতো কিছু নেই। কেকেআরের মনোবল ভেঙে যাওয়ায় এগিয়ে যায় সিএসকে।
০৮১৪
দীপক চাহার ও হরভজনের জুটিই শেষ করে দিয়েছে কেকেআরকে, এটা বললে খুব একটা ভুল হবে না। সিএসকের দীপক চাহার প্রথম স্পেলেই ৩ উইকেট নেন। তিনিই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন এ দিন।
০৯১৪
হরভজন সিংহ ২ উইকেট পেয়েছেন ১৫ রানের বিনিময়ে। অন্য দিকে নারাইন ছাড়া কেকেআরের আর কোনও বোলার সফল হতে পারেননি এ দিন।
১০১৪
তিন স্পিনারকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দুর্দান্ত ভাবে ব্যবহার করেছেন ধোনি। হরভজন সিংহ, ইমরান তাহির ও রবীন্দ্র জাডেজা মিলে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন।
১১১৪
পাওয়ার প্লে-তে দুই স্পিনার মিলে তিন ওভার বল করলেন। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে নাইটরা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি।
১২১৪
ধোনির নেতৃত্বের গুণেই অনেকটা এগিয়ে যায় চেন্নাই। তবে উইকেটকিপার হিসেবেও দারুণ ছাপ রেখে গিয়েছেন ধোনি। দুটো স্টাম্পিং করেছেন তিনি।
১৩১৪
শুভমন গিলের আউট হয়ে যাওয়াটা কফিনে শেষ পেরেক গাঁধার মতোই ছিল। রাসেলের পাশে দাঁড়ানোর মতো আর কেউ ছিল না সে ভাবে।
১৪১৪
চিদম্বরমের পিচে ব্যাটিং করাটা খুব সহজ ছিল না। বল ভাল করে ব্যাটে আসেনি। টস জেতায় বাড়তি সুবিধাটুকু পেয়ে যায় সিএসকে। পরে শিশিরের সমস্যা সামলাতে হয়নি। পিচের কারণেই রাসেলেরও স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০র সামান্য বেশি। ম্যাচের শেষে পিচ নিয়ে এ দিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন ধোনিও।