মহড়া: ইডেনে নাইটদের নেটে মগ্ন কার্তিক। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
এখনও বাকি তিন ম্যাচ। কিন্তু তার আগে শুক্রবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয় রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এ দিন জয়ের সুবাদে মুম্বই পয়েন্ট টেবলের দু’নম্বরেই শুধু উঠে এল না। বাড়িয়ে নিল নেট রান রেটও। রোহিতের দলের নেট রান রেট এই মুহূর্তে +০.৫৩৭। ফলে রবিবার ইডেনে বড় ব্যবধানে মুম্বইকে হারানোর সঙ্গে দীনেশ কার্তিকদের বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে নেট রান রেট বাড়ানোর দিকেও।
নাইটদের মতোই সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে আট পয়েন্ট আরসিবি ও রাজস্থানের। শুধুমাত্র নেট রান রেটে তাদের চেয়ে এগিয়ে কেকেআর। এই মুহূর্তে কলকাতা নাইট রাইডার্সের নেট রান রেট -০.০৫০। অন্য দিকে পঞ্চম স্থানে থাকা পঞ্জাবের পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ১০। নেট রান রেট -০.১১৭। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট হায়দরাবাদের (১০ ম্যাচে ১০)। তাদের নেট রান রেট +০.৬৫৪। তবে রবিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হারলে এ বারের মতো প্লে-অফের স্বপ্নে ইতি ঘটে যাবে কেকেআরের। অর্থাই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচই ‘লাইফ-লাইন’ হতে চলেছে কার্তিকদের।
আইপিএল ইতিহাসে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে় এখনও পর্যন্ত ২৩ ম্যাচ খেলে মাত্র পাঁচটিতে জিতেছে কেকেআর। দলের এই পরিস্থিতির কথা কারও বুঝতে বাকি নেই। তাই হয়তো বাড়তি তাগিদ দেখা গেল অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের। শুক্রবার সরকারি ভাবে অনুশীলন বন্ধ ছিল নাইটদের। এমনকি ঐচ্ছিক অনুশীলন করার কথাও ছিল না। কিন্তু বিকেলের ছবিটা পুরো ছবি পাল্টে গেল। ইডেনে অনুশীলন করলেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক ও সহ-অধিনায়ক রবিন উথাপ্পা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কোচ জাক কালিস, সাইমন ক্যাটিচ, মেন্টর অভিষেক নায়ার ও বোলিং কোচ ওঙ্কার সালভি। প্রায় দু’ঘণ্টা নেটে গা ঘামালেন কার্তিক এবং উথাপ্পা।
শেষ ম্যাচে খেলেননি উথাপ্পা। হায়দরাবাদে সানরাইজার্স ম্যাচ থেকেই দলের বাইরে তিনি। তাঁর জায়গায় খেলেছিলেন রিঙ্কু সিংহ। হায়দরাবাদে ২৫ বলে ৩০ রান করেন। বৃহস্পতিবার অপরাজিত ছিলেন তিন রানে। দলের ব্যাটিং গভীরতা বাড়াতেই হয়তো মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ফিরতে পারেন উথাপ্পা।
বোলিং-সমস্যার পাশাপাশি শেষ কয়েকটি ম্যাচে ব্যাটিং নিয়েও সমস্যায় কেকেআর। আন্দ্রে রাসেল ছাড়া কেউ ধারাবাহিক নন। এ দিন ইডেন ছাড়ার সময় ক্যাটিচ বলেন, ‘‘ব্যাটসম্যানরা ধারাবাহিক ইনিংস খেলতে পারছে না। আজ যে রান করছে, পরের দিন সে রান পাচ্ছে না। সেটাই অন্যতম সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে দল প্রচণ্ড চাপে। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের নিখুঁত খেলতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy