চ্যালেঞ্জ: ইডেনে আজ নতুন লড়াই কার্তিকের। নিজস্ব চিত্র
গত বার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হেরে থেকে ছিটকে গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। রশিদ খানের দুরন্ত বোলিংয়ের (৩-১৯) বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়েছিল নাইট শিবির। ইডেনেই হয়েছিল সে ম্যাচ। এ বার আইপিএলের প্রথম ম্যাচে সেই রশিদকে সামলানোই মূল লক্ষ্য নাইটদের।
অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকও জানিয়ে দিলেন, রশিদকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে নাইট শিবিরে। শনিবার ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে কার্তিক বলেন, ‘‘রশিদ বিশেষ স্পিনার। টি-টোয়েন্টিতে তো অবশ্যই। ওকে নিয়ে আমরা ভেবেছি। সে ভাবেই পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে।’’ তবে শুধু রশিদ নন, সানরাইজার্সের বাকি বোলারদের নিয়েও ভাবছেন কার্তিক। বলছিলেন, ‘‘রশিদকে ছাড়াও সানরাইজার্সের বোলিং বিভাগ খুব শক্তিশালী। সকলকে নিয়েই আমাদের ভাবতে হবে।’’
সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে গত বার ইডেনেই দু’টি ম্যাচ হেরেছিল কেকেআর। যা আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে হায়দরাবাদের। সানরাইজার্স কোচ টম মুডি বলে গেলেন, ‘‘ইডেনের পিচের সঙ্গে আমাদের খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেটাই দলকে আরও তাতিয়ে দিয়েছে। প্রথম ম্যাচ ঘরের মাঠে না হলেও কোনও অসুবিধা নেই।’’ সেই সঙ্গেই কার্তিকের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে পারে বিপক্ষের ওপেনিং জুটি। ইডেনেই আইপিএল প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে ডেভিড ওয়ার্নারের। তাঁর সঙ্গে থাকতে জনি বেয়ারস্টো। এই বিধ্বংসী ওপেনিং জুটিকে দ্রুত ফেরাতে পারলে স্বস্তিতে থাকবে কেকেআর শিবির।
বর্তমানে ইডেনের পিচের চরিত্র বদলেছে। স্পিনারদের চেয়ে বেশি সাহায্য পাচ্ছেন পেসাররা। যদিও আজ রবিবার নাইটরা যে পিচে খেলবে, তাতে ঘাসের চিহ্ন নেই। তবে শোনা যাচ্ছে, বল বাউন্স করবে। কিন্তু নাইট শিবিরে পেসারদের চেয়ে স্পিনারের সংখ্যা বেশি। সুনীল নারাইন, কুলদীপ যাদব এবং পীযূষ চাওলা রয়েছেন। নীতীশ রানাও পার্ট-টাইম স্পিনারের কাজ করে দিতে পারেন। পেস বিভাগে রয়েছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, সন্দীপ ওয়ারিয়র, লকি ফার্গুসন। কার্লোস ব্রাথওয়েট ও আন্দ্রে রাসেলের বলেও কম গতি নেই। সে ক্ষেত্রে কাকে খেলাবেন কার্তিক? তাঁর উত্তর, ‘‘পিচের গতি ও বাউন্স আমাদের সাহায্য করবে। পেস ও স্পিনের মধ্যে ভারসাম্য রেখেই দল গড়া হবে।’’
ব্যাটিং অর্ডারে বড় কোনও বদল হবে না। গত বারের মতোই ওপেনার হিসেবে দেখা হচ্ছে সুনীল নারাইন ও ক্রিস লিনকে। তিন নম্বরে রবিন উথাপ্পা। তার পর থেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী নামবেন বাকিরা। এ দিনও নেটে নতুন বলে খেলানো হল নারাইন ও লিনকে। তার পরেই ব্যাট করলেন উথাপ্পা ও শুভমন। রাসেল ও ব্রাথওয়েটকেও বেশ কিছুক্ষণ নেটে দেখে নেওয়া হল। কার্তিক বললেন, ‘‘নেটের সঙ্গে ম্যাচের কোনও মিল নেই। ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম তিনজনের পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী বাকিদের পাঠানো হবে।’’ তিনি কখন নামবেন? কার্তিকের উত্তর, ‘‘গত বার এমনও হয়েছে যে, ১৭ নম্বর ওভারে ব্যাট করতে নেমেছি। এ বার বেশি ওভার পেলে ভাল।’’ তা হলে কি চার নম্বরে দেখা যাবে কার্তিককে? বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দলে চার নম্বর জায়গাটা এখনও নিশ্চিত নয়। কার্তিকের উত্তর, ‘‘বিশ্বকাপ নিয়ে যত কম ভাবব, তত ভাল। আমার মূল লক্ষ্য কেকেআর-এর হয়ে ভাল কিছু করার। বাকি বিষয়ে আমি ভাবতে চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy