পাশাপাশি: বাইশ গজের লড়াই শেষ। শুক্রবার ম্যাচের সেরার ট্রফি কেকেআরের মধ্যমণি রাসেলকে দেখাচ্ছেন কোহালি। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে হারার পরে টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন তুলে দিলেন আন্দ্রে রাসেল। জামাইকান অলরাউন্ডার জানিয়ে দিলেন, চার নম্বরে ব্যাট করতে যাওয়া উচিত ছিল তাঁর।
শুক্রবার ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে রাসেল বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, চার নম্বরে ব্যাট করতে গেলে দল অনেকটাই সুবিধাজনক জায়গায় থাকতে পারবে। দলের জন্য এটা অনেক ভাল হত।’’ তাঁর আরও ব্যাখ্যা, ‘‘আমি চার নম্বরে নামলে বিরাটকে তার সেরা বোলারদের আগে বল করিয়ে দিতে হত। সে ক্ষেত্রে শেষের দিকে ডেল স্টেন ও বাকিদের ওভার বেঁচে থাকত না। আমাদের পক্ষে সেটা ভাল হত।’’
জামাইকান অলরাউন্ডার আরও জানিয়ে দিলেন, মাঝের ওভারগুলোতে কম রান হওয়ার কারণেই শেষের দিকে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে গিয়েছিল। সরাসরি কতারও নাম না বললেও রবিন উথাপ্পার ২০ বলে ৯ রানের ইনিংসকেই দুষলেন রাসেল। তাঁর কথায়, ‘‘মাঝের ওভারগুলোয় খুব কম রান হয়েছে। সেই সময় স্কোরবোর্ড সচল থাকলে আমরা হয়তো এই অবস্থায় থাকতাম না।’’
রানার সঙ্গে ব্যাট করার সময় দু’জনের মধ্যে কী কথা হয়েছিল? রাসেলের জবাব, ‘‘আমরা ২১৪ রান তাড়া করছিলাম। আমি নামার সময় দল মোটেও ভাল অবস্থায় ছিল না। ১৪-১৫ রান প্রত্যেক ওভারে করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করা সহজ নয়। রানাকে একটা কথাই বলেছিলাম, আমি নিজের খেলাটা খেলব। আমার কোর্টে বল পেলেই উড়িয়ে দেব। সেটাই করছিলাম। কিন্তু ম্যাচ জেতাতে না পেরে খারাপ লাগছে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘এই ম্যাচ থেকে একটি জিনিসই শেখার। আমরা যে কোনও পরিস্থিতি থেকে ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারি। কিন্তু ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়।’’
গত বছরের চেয়ে এ বার যেন আরও ধারাবাহিক হয়ে উঠেছেন রাসেল। তাঁর সাফল্যের রহস্য কী? রাসেলের উত্তর, ‘‘প্রত্যেক ম্যাচে অন্তত হাফসেঞ্চুরি করার লক্ষ্য নিয়ে নামি। আউট হয়ে যেতে পারি, সেই ভয়টা পাই না। সেটাই হয়তো আমার সাফল্যের রহস্য। কিন্তু আমার মনে হয় এখন যা করছি, তা তিন-চার বছর আগেই করতে পারতাম।’’
রাসেল আরও মনে করেন, আরও কম রানে আরসিবিকে আটকে দেওয়া উচিত ছিল তাঁদের। বলে দিলেন, ‘‘২০০ রানের মধ্যে আটকানো উচিত ছিল আরসিবি-কে। টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে খেলার মোড় ঘুরে যায়। দশ রানে হারার যন্ত্রণা অনেক বেশি। শুধু একটি চার ও একটি ছয় কম হয়ে গিয়েছিল। তার জন্যই সব চেয়ে বেশি হতাশ হয়ে পড়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy