মেরি কম। —ফাইল চিত্র।
ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (আইওএ) বিরুদ্ধে এ বার সুর চড়ালেন মেরি কম। তাঁর অভিযোগ, অ্যাথলিটস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে তাঁর দেওয়া কোনও পরামর্শ গ্রহণ করা হয়নি। তাই তিনি আইওএকে আর কোনও পরামর্শ দেন না।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসে দেশের অন্যতম সেরা ১০ জন ক্রীড়াবিদকে নিয়ে অ্যাথলিটস কমিশন গঠন করেছিল আইওএ। খেলাধুলোর উন্নতিতে নানা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার জন্যই এই কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিশনের প্রধান করা হয় ছ’বারের বিশ্বজয়ী বক্সার মেরিকে।
আইওএর সভাপতি পিটি ঊষার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে গত প্যারিস অলিম্পিক্সের পর থেকে। যদিও ঊষা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। এ বার প্রাক্তন অ্যাথলিটের বিরুদ্ধে সরব হলেন মেরিও। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে মেরি বলেছেন, ‘‘আমি এখন আর আইওএর কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত নই। আমরা আইওএকে অনেক ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু আইওএ কোনও কথাই শোনে না। আমি বার বার নিজের বক্তব্য জানিয়েছি। অথচ আমার কোনও পরামর্শই শোনা হয়নি। আমি কাউকে নির্দিষ্ট ভাবে দোষারোপ করতে চাই না। আমি রাজনীতি বুঝি না।’’
আইওএ যে ভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তাতে হতাশ মেরি। প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতীয় ক্রীড়াবিদেরা প্রত্যাশিত ফল করতে না পারায় হতাশ তিনি। ইন্ডিয়ান গেমিং কনভেনশনের অনুষ্ঠানে ক্ষুব্ধ মেরি বলেছেন, ‘‘আমাকে তো কেউ আমন্ত্রণই জানায়নি। কে কী ভুল করেছে, তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। খেলোয়াড়েরা অন্তত আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারত। অন্তত বক্সারদের শক্তি এবং দুর্বলতার জায়গাগুলো তো ধরিয়ে দিতে পারতাম।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের কোচিংয়ের পদ্ধতি মান্ধাতার আমলের। আমি অভিজ্ঞ কোচদের কাছে প্রশিক্ষণ নিতাম। তাঁরা হয়তো খেলোয়াড় হিসাবে তেমন সফল নন। তাঁরা যা যা পরামর্শ দিতেন, সব কিছু মেনে চলার চেষ্টা করতাম। কিন্তু অন্য বক্সারদের ক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতা একটু অন্য রকম। ওদের হয়তো ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা রয়েছে। কিন্তু কোনও সাফল্য নেই। পদকের সব সময় আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।’’
মেরি জানিয়েছেন, একটা সময় পর আইওএকে পরামর্শ দেওয়া বন্ধ করে দেন তিনি। কারণ তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, তাঁর পরামর্শের কোনও গুরুত্ব নেই আইওএ কর্তাদের কাছে। তিনি অবশ্য সরাসরি কারও নাম করেননি। যদিও মনে করা হচ্ছে, মেরির ক্ষোভও ঊষার বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy