সুমিত নাগাল। ছবি: রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ড জিতে নিলেন সুমিত নাগাল। বিশ্বের ২৭ নম্বর অ্যালেক্সান্ডার বুবলিককে হারিয়ে দিলেন ভারতের টেনিস তারকা। র্যাকেট হাতে সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থার বঞ্চনার জবাব দিলেন নাগাল। ১৯৮৯ সালের পর প্রথম কোনও ভারতীয় টেনিস তারকা গ্র্যান্ড স্ল্যামে বাছাই খেলোয়াড়কে হারিয়ে দিলেন। নাগালের আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন রমেশ কৃষ্ণণ। হারিয়েছিলেন সেই সময়কার ক্রমতালিকায় এক নম্বর ম্যাটস উইল্যান্ডারকে। সেই ম্যাচটিও ছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের।
মঙ্গলবার কাজাখস্তানের অ্যালেক্সান্ডার বুবলিককে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে দেন নাগাল। টেনিস বিশ্বে সাসা নামে পরিচিত বুবলিক। ক্রমতালিকায় তিনি ২৭ নম্বর। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তিনি ৩১ নম্বর বাছাই। ভারতীয় টেনিস তারকা ক্রমতালিকায় ১৩৭ নম্বর। নাগাল জেতেন ৬-৪, ৬-২, ৭-৬ গেমে। শেষ সেট গড়ায় টাইব্রেকারে, সেখানে নাগাল জেতেন ৭-৫ ব্যবধানে।
নাগালের এই জয় শুধু তাঁকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে তুলে দিল না, এই জয় জবাব হয়ে রইল সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থার জন্য। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ডেভিস কাপ না খেলায় সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থা নাগালের জন্য ওয়াইল্ড কার্ডের আবেদন করতে রাজি হয়নি। তাই যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলতে হয় তাঁকে। পর পর তিনটি ম্যাচ জিতে নাগাল জায়গা করে নিয়েছিলেন মূলপর্বে। এ বার প্রথম রাউন্ডের ম্যাচও জিতলেন তিনি।
নাগাল গত বছর ফিনল্যান্ডে গিয়ে ট্যাম্পেয়ান ওপেন ট্রফি জিতেছিলেন। বহু দিন পর ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড়। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মূল পর্বে শেষ বার খেলেছিলেন নাগাল। সে বার ওয়াইল্ড কার্ড হিসাবে খেলার সুযোগ পেয়ে প্রথম রাউন্ডেই হেরে গিয়েছিলেন।
এই বছরও ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার সুযোগ ছিল তাঁর কাছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমতালিকার বিচারে সুযোগ এসেছিল নাগালের কাছে। কিন্তু তাঁর নাম না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থা। নাগাল বলেছিলেন, “আমি ডেভিস কাপে খেলিনি বলে আমাকে পাঠানো হবে না। ফোন করে আমাকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সত্যি বলতে, এটা শুনে আমি ধাক্কা খেয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতে এই অবস্থার উন্নতি হবে। না হলে ভারতীয় টেনিস দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।”
ওয়াইল্ড কার্ডে সুযোগ না পেয়ে যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলতে হয় নাগালকে। সেখানে শেষ রাউন্ডে নাগাল ৬-৪, ৬-৪ গেমে হারিয়েছিলেন স্লোভাকিয়ার অ্যালেক্স মোলকানকে। ম্যাচ জিততে তিনি সময় নিয়েছিলেন ১ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy