Advertisement
E-Paper

ক্রীড়া ট্রাইবুন্যালের ভাবনা কেন্দ্রের, খেলাধুলো নিয়ে বিবাদে আর দ্বারস্থ হওয়া যাবে না সাধারণ আদালতের

কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভায় নতুন ক্রীড়া বিল আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিল পাশ হওয়ার পর আইনে পরিণত হলে হাই কোর্ট বা অন্য আদালতে যাওয়া যাবে না খেলাধুলো সংক্রান্ত সমস্যার নিষ্পত্তির জন্য।

representative picture

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০০
Share
Save

দেশের ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে নিয়মে বাঁধতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সে জন্য আসতে চলেছে বিশেষ আইন। দল নির্বাচন বা অন্য কোনও ক্রীড়া সংক্রান্ত বিবাদের নিষ্পত্তির জন্য থাকবে নির্দিষ্ট আদালত। ক্রীড়া সংস্থাগুলি বা খেলোয়াড়েরা সরাসরি সাধারণ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন না।

কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভায় নতুন ক্রীড়া বিল আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিল পাশ হওয়ার পর আইনে পরিণত হলে সরাসরি হাই কোর্ট বা অন্য আদালতে যাওয়া যাবে না। বিবাদের নিষ্পত্তির জন্য যেতে হবে প্রস্তাবিত অ্যাপিলেট স্পোর্টস ট্রাইবুনালে। যা তৈরি হবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের আদলে। ক্রীড়া সংক্রান্ত মামলার চাপে সাধারণ আদালতে যাতে অন্য মামলাগুলির অগ্রগতি ব্যাহত না হয়, সে কারণেই এই ব্যবস্থা। যেমন অক্টোবর মাসেই ছ’টি ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রশাসনিক নানা বিবাদ বা অনিয়মের অভিযোগে।

গত বৃহস্পতিবার ক্রীড়া মন্ত্রক ‘ন্যাশনাল স্পোর্টস গভর্ন্যান্স বিল ২০২৪’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে। এই বিলে ‘স্পোর্টস রেগুলেটরি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’ বা এসআরবিআই গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। ক্রীড়া সংস্থাগুলির প্রশাসনিক কাজকর্মের দিকে নজর রাখবে এসআরবিআই। ক্রীড়া মন্ত্রকের আওতায় থাকা তহবিল, প্রশাসনের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চলে যাবে এসআরবিআইয়ের নিয়ন্ত্রণে। তাতে মন্ত্রকের ভার কমবে। এসআরবিআই কাজ করবে স্বাধীন ভাবে।

প্রস্তাবিত বিল আইনে পরিণত হলে, ২৫ বছরের বেশি বয়সি যে কোনও ভারতীয় নাগরিক যে কোনও ক্রীড়া সংস্থার সর্বোচ্চ পদের জন্য নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর প্রার্থিপদের এক জন প্রস্তাবক বা সমর্থনকারী থাকতে হবে। শীর্ষ পদাধিকারী ব্যক্তিকেও নিয়ম মেনে সংস্থার কর্মীদের মতো কাজ করতে হবে। সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ বা সদস্য সমিতির সদস্য হতে হবে তাঁকে।

প্রস্তাবিত বিলের ২৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, সমস্ত আদালতে ক্রীড়া সংক্রান্ত যে মামলাগুলি বিচারাধীন রয়েছে, সেগুলিকে নির্দিষ্ট একটি দিনে কেন্দ্র ট্রাইবুনালে স্থানান্তর করবে। মামলাগুলি যে পর্যায়ে রয়েছে, ট্রাইবুনাল চাইলে সেই পর্যায় থেকেই পরবর্তী শুনানি শুরু করতে পারবে। আবার প্রথম থেকেও শুনানি শুরু করার সুযোগ থাকবে। মামলার গতিপ্রকৃতি দেখে বিষয়টি ঠিক করবেন ট্রাইবুনালের সদস্যেরা।

৩০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনও দেওয়ানি আদালতের ক্রীড়া সংক্রান্ত মামলার বিচারের বা হস্তক্ষেপের এক্তিয়ার থাকবে না। ট্রাইবুনালের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। সেই সিদ্ধান্তের উপর কোনও আদালত বা অন্য কোনও সংস্থা স্থগিতাদেশ দিতে পারবে না। ট্রাইবুনালের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে রায় দানের ৩০ দিনের মধ্যে শুধু সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা যাবে।

প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়েছে, ট্রাইবুনালের সদস্য হবেন সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টের এক জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, কেন্দ্রীয় ক্রীড়াসচিব এবং কেন্দ্রীয় আইন সচিব বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধি। দেওয়ানি আদালতের সমতুল ক্ষমতা থাকবে এই ট্রাইবুনালের। তাদের নির্দেশও দেওয়ানি আদালতের নির্দেশ হিসাবে বিবেচিত হবে।

Government of India

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।