ফুরফুরে: ইশান্ত ও উমেশের সঙ্গে উচ্ছ্বাস অশ্বিনের। ইনদওরে। পিটিআই
মোমিনুল হককে বোল্ড করেই ঘরের মাঠে ২৫০ উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন আর অশ্বিন। অনিল কুম্বলে ও হরভজন সিংহের পরে ভারতের তৃতীয় স্পিনার হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁলেন তিনি। যদিও তাঁদের চেয়ে কম ম্যাচ খেলে এই নজির গড়লেন অশ্বিন।
মাত্র ৪২ টেস্টে ঘরের মাঠে ২৫০ উইকেটের গণ্ডি পেরলেন অশ্বিন। কিংবদন্তি স্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরনও সমান সংখ্যক টেস্ট খেলেই এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। তাঁদের থেকে এক ম্যাচ বেশি খেলে এই রেকর্ড গড়েছিলেন কুম্বলে। হরভজনের লেগেছিল ৫১টি টেস্ট।
অশ্বিনের নামের পাশে আরও দু’টি উইকেট যোগ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লার সহজ ক্যাচ স্লিপে ফেলে দেন অজিঙ্ক রাহানে। তা নিয়ে অশ্বিন যদিও ক্ষুব্ধ নন। বরং তিনি বিস্মিত।
বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় অফস্পিনার বলেন, ‘‘এ রকম হতেই পারে। কিন্তু এই মাঠেই নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমার বোলিংয়ে অনেকগুলো ক্যাচ নিয়েছিল রাহানে। অথচ ওর হাত থেকেই এ ধরনের ক্যাচ পড়বে তা প্রত্যাশিত নয়। আশা করি, দ্বিতীয় ইনিংসে ও এই ভুল করবে না।’’
ভারতীয় পেসারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করলেন অশ্বিন। তিনি বলছিলেন, ‘‘বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা ও ভয়ঙ্কর পেস আক্রমণ আমাদের। শামি, উমেশ, ইশান্ত ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলছে।’’ পেসারদের পারফরম্যান্সের জন্যই কি স্পিনারদের বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে না? অশ্বিনের উত্তর, ‘‘একেবারেই নয়। পেসাররা যদি জুটি ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখন এগিয়ে আসার চেষ্টা করি। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী বল করি। পেসাররা ভাল করছে বলে, আমার অথবা জাডেজার আচরণে কোনও পার্থক্য থাকে না।’’
ইনদওরের পরেই ইডেনে বসতে চলেছে দিনরাতের টেস্টের আসর। কিন্তু অশ্বিনের গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি। এমনকি তিনি গোলাপি বলে একটি বলও করেননি। বলছিলেন, ‘‘কখনও গোলাপি বল দেখলে মনে হয় কমলা। এখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। তবে কলকাতা টেস্টের আগে অনুশীলন করে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘দিনরাতের টেস্ট একটি অভিনব উদ্যোগ। যে-হেতু ভারত একটি টেস্ট খেলিয়ে দেশ, তাই আমাদের জন্য দিনরাতের টেস্ট খেলা গুরুত্বপূর্ণ। অফিস-ফেরত ক্রিকেটপ্রেমীরা মাঠে আসতে পারবেন।’’
বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে অনেকেরই হয়তো মনে হবে, ভারতের বিরুদ্ধে ওরা ভয় পেয়ে গিয়েছে। দশ ও এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান তো ক্রিজ ছেড়ে লেগস্টাম্পের দিকে সরে যাচ্ছিলেন। অশ্বিনেরও কি তাই মনে হয়েছে? ভারতীয় স্পিনারের ব্যাখ্যা, ‘‘বিশ্বের অনেক দলের দশ ও এগারো নম্বর ব্যাটসম্যানেরা ক্রিজ ছেড়ে চলে যায়। ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, টস জিতে সবুজ পিচে ব্যাট করে ওরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। সকালের দিকে কিছুটা মানিয়ে নিতে ওদের অসুবিধা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু মোমিনুল, মুশফিকুররা খুব ভাল ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।’’ বিরাট কোহালির মতো অশ্বিনও স্থায়ী টেস্ট কেন্দ্রের পক্ষে। তাঁর কথায়, ‘‘স্থায়ী টেস্ট কেন্দ্র থাকলে পরিবেশ ও উইকেট সম্পর্কে আন্দাজ তৈরি হয়ে যায়। তবে ভারতের প্রত্যেক কোণ থেকে ক্রিকেটার উঠে আসছে। ক্রিকেট অনেক উন্নতি করেছে। সেটা যদিও
একটা ভাল ইঙ্গিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy