লক্ষ্য জিতলেও সোনা এল না ভারতের। ছবি: পিটিআই।
চোটের জন্যে রবিবার সকালে ছিটকে গিয়েছিলেন এইচএস প্রণয়। পরের দিকে ছিটকে যান ডাবলস খেলোয়াড় এমআর অর্জুন। তা সত্ত্বেও ব্যাডমিন্টনে পুরুষদের দলগত বিভাগে ২-০ এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। তৃতীয় ম্যাচে কিদম্বি শ্রীকান্ত হারতেই সব শেষ। পরের দুই সিঙ্গলস খেলোয়াড় উড়ে গেলেন। ২-৩ ব্যবধানে চিনের কাছে হেরে রুপো পেল ভারত। নিশ্চিত সোনা হাতছাড়া হল ভারতের। তবে এই প্রথম পুরুষদের ডাবলসে রুপো পেল ভারত।
লক্ষ্য সেন প্রথম ম্যাচে শি ইউকিকে হারান ২২-২০, ১৪-২১, ২১-১৮ গেমে। পরের ম্যাচে ডাবলসে সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি জুটি ২১-১৫, ২১-১৮ হারান ওয়েইকেং লিয়ান এবং চাং ওয়াং জুটিকে। পরের ম্যাচ ছিল শ্রীকান্তের। সেটি জিতলেই সোনা জিতত ভারত। প্রণয় না থাকায় ভরসা ছিল শ্রীকান্তের উপরেই। কিন্তু তিনি লি শিফেংয়ের কাছে ২২-২৪, ৯-২১ হারতেই ভারতের আশা শেষ হয়ে যায়। কারণ পরের দু’টি ম্যাচে চিনকে পাল্লা দেওয়ার মতো খেলোয়াড় ছিল না ভারতের।
সিঙ্গলসে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেছিলেন লক্ষ্য সেন। প্রতিপক্ষ ছিলেন চিনের শি ইউকি। বিশ্বের ছয় নম্বর খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন লক্ষ্য। প্রথম থেকেই চিনের খেলোয়াড়কে চাপে ফেলে দেন তিনি। নিজের রক্ষণ শক্তিশালী রেখেছিলেন। পাশাপাশি লক্ষ্যের র্যাকেট থেকে দারুণ কিছু স্ম্যাশ পাওয়া যায়, যার জবাব দিতে পারেননি শি। বিরতিতে ১১-৬ এগিয়ে ছিলেন লক্ষ্য। এক সময় ১৫-১১ এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও মুহূর্তের কিছু ভুল লক্ষ্যকে পিছিয়ে দেয়। প্রথম সেট জেতার কাছাকাছি চলে এসেছিলেন শি। কিন্তু লক্ষ্য মাথা ঠান্ডা রেখে ২২-২০ গেমে জিতে যান। দ্বিতীয় গেমে লক্ষ্যকে নিজের সেরা ছন্দে দেখা যায়নি। তাঁর উপর চাপ বাড়াতে থাকেন শি। শেষ পর্যন্ত ১৪-২১ গেমে সেট হেরে যান। তৃতীয় সেটেও লক্ষ্য শুরু থেকে পিছিয়ে পড়তে থাকেন। বিরতিতে পিছিয়ে ছিলেন ৭-১১। এক সময় মনে হচ্ছিল সেট হারবে ভারত। কিন্তু ৯-১৪ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় তিনি ১৪-১৪ করে ফেলেন। শেষের দিকে দারুণ কিছু শট খেলে ম্যাচ জিতে ভারতকে ১-০ এগিয়ে দেন।
দ্বিতীয় ম্যাচে ডাবলসে নেমেছিলেন সাত্ত্বিকসাইরাজ রানরিকেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি। গত কয়েক বছরে তাঁদের জুটি বিশ্বের যে কোনও শক্তিকে হেলায় হারানোর ক্ষমতা রাখে। তার প্রমাণ রবিবারও পাওয়া গেল। চিনের জুটিকে আগাগোড়াই দাঁড়াতে দেননি তাঁরা। প্রথম থেকে চিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের উপর চাপ বাড়াতে থাকেন। দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়া এতটাই ভাল ছিল যে চিনের দুই খেলোয়াড় যেখানেই শট মারছিলেন, সেখানেই ভারতীয় জুটির কেউ না কেউ পৌঁছে যাচ্ছিলেন। দু’টি সেটেই দাপট ধরে রেখে জেতেন তাঁরা।
তৃতীয় ম্যাচে নেমেছিলেন কিদম্বি শ্রীকান্ত। বিপক্ষে ছিলেন বিশ্বের আট নম্বর লি শিনফেং। কিন্তু শ্রীকান্তকে দেখেই মনে হচ্ছিল তিনি ছন্দে নেই। তবু প্রথম সেটে প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই করার চেষ্টা করছিলেন। কোনও প্রতিপক্ষই খুব বেশি এগিয়ে যেতে পারছিলেন না। শেষ দিকে শ্রীকান্তের কাছে সেট জেতার সুযোগ ছিল। কিন্তু নিজের ভুল জয় হাতছাড়া হয়। দ্বিতীয় গেমে তাঁকে দাঁড়াতেই দেননি লি। প্রথম থেকে শ্রীকান্তের উপরে চাপ বজায় রেখেছিলেন তিনি। ৮-২১ পয়েন্টে সেট জিতে নেন তিনি।
পরের দু’টি ম্যাচে ভারতের কাছে পাল্লা দেওয়ার মতো খেলোয়াড় ছিল না। চোট থাকায় ধ্রুব কপিলার সঙ্গী অর্জুন নামতে পারেননি। ফলে কোনও মতে কৃষ্ণ প্রসাদকে সঙ্গী করে নামানো হয়। তারা ৬-২১, ১৫-২১ হারেন ইউচেন লিউ, জুয়ানি উয়ের কাছে। পরের ম্যাচে মিঠুন মঞ্জুনাথ ১২-২১, ৪-২১ হারেন হংইয়াং ওয়েংয়ের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy