এ বারের অলিম্পিয়াডে বিশ্বের প্রায় ১৮০টি দেশের প্রায় ২০০০ প্রতিযোগী অংশ নেবেন বলে জানালেন দিব্যেন্দু। তা ছাড়া প্রতিটি দেশের আধিকারিকরাও আসবেন। প্রতিযোগিতার এখনও চার মাস বাকি। এই সময়ের মধ্যে ভাল করে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা ভারতীয় দাবা সংস্থার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি।
দাবা অলিম্পিয়াড নিয়ে অনেক আশা বাঙালি গ্র্যান্ড মাস্টারের ফাইল চিত্র।
রাশিয়ার হাত থেকে প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব সরার পরেই সেই দায়িত্ব নিতে ঝাঁপিয়েছিল ভারতীয় দাবা সংস্থা। ভারতের আগ্রহ দেখে এ দেশে প্রথম বারের জন্য ‘দাবা অলিম্পিয়াড’ আয়োজনের দায়িত্ব দেয় বিশ্ব দাবা সংস্থা। জুলাই মাসের শেষে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কথা। ভারত দাবা অলিম্পিয়াড আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ায় খুশি বাংলার প্রথম তথা ভারতের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া। আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘এটা আমাদের অলিম্পিক্স। দাবা অলিম্পিয়াডে খেলার স্বপ্ন দেখে দাবাড়ুরা। এ বার অনেকের স্বপ্নপূরণ হবে।’’
কেন অলিম্পিয়াডকে দাবার অলিম্পিক্স বললেন দিব্যেন্দু? তার জবাবে বাঙালি গ্র্যান্ড মাস্টার বললেন, ‘‘যেহেতু অলিম্পিক্সে দাবা নেই, তাই এটাই আমাদের কাছে অলিম্পিক্স। দাবার সব থেকে বড় প্রতিযোগিতা। দু’বছর অন্তর এই প্রতিযোগিতা হয়। সব দেশের সেরা দাবাড়ুরা অংশ নেয়। প্রতিটি দেশ থেকে ছেলে ও মেয়েদের একটা করে দল প্রতিনিধিত্ব করে।’’
অলিম্পিয়াডের জন্য ভারতীয় দল এখনও নির্বাচিত হয়নি। এক মাসের মধ্যে সম্ভাব্য দল ঘোষণা হয়ে যাবে বলে জানালেন নির্বাচক কমিটির সদস্য দিব্যেন্দু। তিনি বললেন, ‘‘আয়োজক দেশ হিসাবে ভারত বাড়তি সুবিধা পাবে। প্রতিটি দেশ যেখানে পুরুষ ও মহিলাদের একটি করে দল নামাবে, ভারত সেখানে দু’টো করে দল নামাতে পারবে। প্রতিটি দলে চার জন দাবাড়ু খেলবে ও এক জন রিজার্ভে থাকবে। মোট চারটে দল নামাতে পারায় বড় সুবিধা পাবে ভারত। ভারতীয় দাবা সংস্থা নির্বাচক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সম্ভাব্য দল ঠিক করবে। কারণ দাবাড়ুদের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দিতে হবে। প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার ১৫ দিন আগে চূড়ান্ত দল ঘোষণা হবে।’’
ভারতীয় দল আসন্ন প্রতিযোগিতায় ভাল করবে বলে আশাবাদী দিব্যেন্দু। সেই সঙ্গে এই প্রতিযোগিতার ফলে ভারতের দাবার ও দাবাড়ুদের মান অনেক বাড়বে বলেই মনে করেন তিনি। দিব্যেন্দু বললেন, ‘‘আশা করছি ভারতীয় দল প্রথম তিনের মধ্যে শেষ করবে। দাবাড়ুরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছে। এতে দাবার মান অনেক বাড়বে। আশা করব সব দাবাড়ুরা গিয়ে প্রতিযোগিতা দেখবে। কারণ সেখানে বিশ্বের সেরা দাবাড়ুদের সামনে থেকে দেখতে পাবে তারা। তাদের খেলা, তাদের শরীরী ভাষা দেখতে পাবে। বিশ্বের বড় বড় দাবাড়ুকে একসঙ্গে দেখা বড় সুযোগ। এ সুযোগ বার বার আসে না। তা ছাড়া গেমস ভিলেজে অন্য দেশের দাবাড়ুদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভারতীয় দাবাড়ুদের অনেক উন্নতি হবে।’’
এ বারের অলিম্পিয়াডে বিশ্বের প্রায় ১৮০টি দেশের প্রায় ২০০০ প্রতিযোগী অংশ নেবেন বলে জানালেন দিব্যেন্দু। তা ছাড়া প্রতিটি দেশের আধিকারিকরাও আসবেন। প্রতিযোগিতার এখনও চার মাস বাকি। এই সময়ের মধ্যে ভাল করে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা ভারতীয় দাবা সংস্থার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি। তবে যে ভাবে তামিলনাড়ু সরকার এগিয়ে এসেছে তার প্রশংসা করেছেন তিনি। দিব্যেন্দু বলেন, ‘‘এর আগে দাবা কমনওয়েলথ, বিশ্ব যুব, বিশ্ব জুনিয়র প্রতিযোগিতাও দক্ষিণ ভারতে হয়েছে। বিশ্বনাথন আনন্দ ও ম্যাগনাস কার্লসেনের মধ্যে বিশ্ব দাবা প্রতিযোগিতাও তামিলনাড়ুতে হয়েছিল। খেলাধুলো নিয়ে তামিলনাড়ুর যে ঐতিহ্য তা বজায় রইল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy