ফাইল চিত্র।
ভারতের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্ট ইংল্যান্ডের। যেখানে সাধারণত স্পিন-সহায়ক উইকেটেই স্বাগত জানানো হয় বিপক্ষকে। কিন্তু ইংল্যান্ডের তারকা পেসার জফ্রা আর্চার চান এমন উইকেটে খেলা হোক, যেখানে পেসাররাও কিছুটা সাহায্য পায়।
জফ্রা চান পেস-সহায়ক পিচ। তবে যদি স্পিন-সহায়ক পিচও হয়, তাতেও সমস্যা নেই। তাঁর বিশ্বাস, দলে বিশ্বমানের স্পিনার রয়েছেন। চেতেশ্বর পুজারা, বিরাট কোহালিদেরও যাঁরা সমস্যায় ফেলে দিতে পারেন। এমনকি এই ডানহাতি পেসারের ধারণা, ভারতীয় স্পিনাররা তাঁর দলকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারবে না। জো রুট, জস বাটলাররা ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কায় প্রমাণ করেছেন, কী ভাবে স্পিন সামলানো যায়।
ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যমের কলামে জফ্রা লিখেছেন, ‘‘ভারতে দীর্ঘদিন আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু টেস্টের সঙ্গে সেই ফর্ম্যাটের কোনও মিল নেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান আক্রমণ করে। টেস্টে সারা দিন রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে যাওয়া যায়। তাই পিচ থেকে সাহায্য না পেলে বোলারদের পক্ষে কাজটা অনেক কঠিন হয়ে যায়।’’ আরও লিখেছেন, ‘‘তাই আশা করি, ভারতে এমন উইকেট দেওয়া হবে যেখানে পেসাররা কিছুটা হলেও সাহায্য পায়। যদি স্পিন-সহায়ক উইকেট দেওয়া হয় তাতেও রাজি, কারণ আমাদের দলে বিশ্বমানের স্পিনার রয়েছে। ভারতও ঘূর্ণির সাহায্যে আমাদের উড়িয়ে দিতে পারবে না।’’
ভারতের স্পিন বিভাগে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মেলবন্ধন রয়েছে। আর অশ্বিনের ৩৭৭ টেস্ট উইকেট রয়েছে। অন্য দিকে ওয়াশিংটন সুন্দর ও কুলদীপ যাদবের বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। ইংল্যান্ড দলের দুই স্পিনারও বেশি ম্যাচ খেলেননি। ১২টি টেস্টে ৩১টি উইকেট রয়েছে অফস্পিনার ডম বেসের। বাঁ-হাতি স্পিনার জ্যাক লিচ ১২টি টেস্টে পেয়েছেন ৪৪টি উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দুই স্পিনারের দাপটেই ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। তাই জফ্রার বিশ্বাস, ‘‘এক তরফা ম্যাচ হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই দেখতে
পাচ্ছি না।’’
ইংল্যান্ড দল উড়ে আসার দু’দিন আগেই ভারতে পা রেখেছেন আর্চার, বেন স্টোকস ও ররি বার্নস। ৩১ জানুয়ারির দিনই নিভৃতবাস শেষ হয়ে যাবে তাঁদের। চেন্নাইয়ের পিচ ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বাড়তি সময় পাবেন আর্চাররা। শ্রীলঙ্কা সফরে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। তাই বার্বেডোজ়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন জফ্রা। ক্যারিবিয়ান পরিবেশে প্রস্তুতি নিয়েছেন। তার পরেই চেন্নাই উড়ে আসা। ভারতের মাটিতে বেশি বিশ্রাম নিতে চান না তিনি। ইংল্যান্ড দলের নিয়ম অনুযায়ী কোনও পেসারকেই টানা চারটি টেস্ট খেলানো হয় না। উপমহাদেশের পরিবেশে তো আরওই না। তাই আর্চারের ইচ্ছে, ‘‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত তো মানতেই হবে। ভারত সফরে যদি অন্তত দু’টি টেস্টও খেলতে পারি তাও অনেক। এই পরিবেশে একজন পেসারের পক্ষে টানা চারটি টেস্ট খেলা কঠিন। দেখা যাক, এ বার বোর্ড আমাদের যা নির্দেশ দেবে, তা পালন করতেই হবে।’’ শ্রীলঙ্কার মাটিতে অধিনায়ক জো রুটের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ আর্চার। ৫ ফেব্রুয়ারিতে চেন্নাইয়েই একশোতম টেস্ট খেলতে নামছেন তিনি। জফ্রার বিশ্বাস, এখনও পঞ্চাশটির বেশি টেস্ট খেলবেন তাঁর অধিনায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy