স্মৃতিচারণ: ভারতীয় সমর্থকদের আতিথেয়তা ভোলেননি আক্রম।
তাঁর ক্রিকেট জীবনে বিশ্বের বহু দেশে স্মরণীয় অনেক সিরিজ খেলেছেন ওয়াসিম আক্রম। এই সব বিদেশ সফরের মধ্যে থেকে অন্যতম স্মরণীয় সিরিজ বেছে নিতে বললে পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার ১৯৯৯ সালের ভারত সফরের কথাই আগে বলছেন।
শেন ওয়াটসনের সঙ্গে একটি চ্যাট শোয়ে আক্রম বলেছেন, ‘‘দশ বছর বাদে আমরা ভারতের সঙ্গে একটা টেস্ট সিরিজ খেলছিলাম। ওই সফরের অধিনায়ক ছিলাম আমি। মনে আছে, চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টের আগে দলকে বলেছিলাম, গ্যালারি যদি নিশ্চুপ হয়ে যায়, তা হলে বুঝবে আমরা নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করছি।’’ কারণটা স্পষ্ট। আক্রমই সেটা বলেছেন, ‘‘আসলে ব্যাপারটা হল, জানতাম, আমরা কখনওই ভারতে এসে দর্শক সমর্থন পাব না। আবার ভারতও আমাদের দেশে গেলে পাকিস্তানি দর্শকদের পাশে পাবে না। এটাই অলিখিত নিয়ম ছিল।’’
কিন্তু আক্রম ভুল প্রমাণিত হয়েছিলেন ওই সফরে। কারণ ভারত হেরে গেলেও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দিকে অভিনন্দনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল চেন্নাইয়ের দর্শক। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়কের স্মৃতিচারণ, ‘‘ওই টেস্টে আমরা জিতেছিলাম। আর ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথে যা দেখা যায় না, সেটাই হয়েছিল। চেন্নাইয়ের দর্শকরা উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছিল। ওই সফরটা আমার প্রিয় সফর।’’ ওই টেস্ট সিরিজ নিয়ে আক্রম আরও বলেন, ‘‘চেন্নাই টেস্টে সাকলিন মুস্তাক একটা অসাধারণ ওভার করেছিল। দুসরার আবিষ্কারক ছিল সাকলিন। পরের টেস্ট ছিল দিল্লিতে। ওখানে পিচ খুড়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই নতুন করে পিচ বানাতে হয়। অনিল কুম্বলে ওই টেস্টে এক ইনিংসে দশ উইকেট নিয়েছিল। সত্যি, একটা স্মরণীয় সফর ছিল ওটা।’’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ অবাস্তব, বলছে অস্ট্রেলিয়াই
পাকিস্তানের ৫৪ বছর বয়সি এই পেসার ৯১৬টি আন্তর্জাতিক উইকেট পেয়েছেন। দেশের হয়ে ১০৪টি টেস্ট এবং ৩৫৬টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন। সেই আক্রম বলছেন, ভারতের বিরুদ্ধে সাফল্য পাওয়াটাই বড় মাপকাঠি হিসেবে দেখা দেয় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে। আক্রমের কথায়, ‘‘একবার ভারতের বিরুদ্ধে ভাল খেললেই পাকিস্তানে নাম-খ্যাতি সব হয়। আমি নিশ্চিত, ভারতীয় ক্রিকেটারদের সম্পর্কেও একই কথা খাটে। নব্বইয়ের দশকে আমরা ভারতের বিরুদ্ধে অনেক ম্যাচ জিতেছি। এখন অবশ্য ছবিটা বদলে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: কোহালির ফিটনেসেই মুগ্ধ গম্ভীর
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই যে নার্ভের যুদ্ধ, চাপ সামলানোর লড়াই, সেটা দু’দেশের ক্রিকেটাররা সবাই জানেন। যাঁরা চাপটা সামলাতে পেরেছেন, তাঁরাই শেষ হাসি হেসেছেন। যেমন আক্রম। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা বাঁ-হাতি পেসার জানিয়েছেন, তিনি কী ভাবে চাপ সামলে মাঠে পারফর্ম করতেন। আক্রম বলেছেন, ‘‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের চাপটা আমি উপভোগ করতাম। আমি সব সময় চাপের মুখে নিজেকে মেলে ধরতে পারতাম। চাপটা আমার কাছে একটা ইতিবাচক দিক ছিল।’’
চাপ সামলানোর মন্ত্র কী? আক্রমের জবাব, ‘‘নিজের উপরে আত্মবিশ্বাস থাকাটা খুব জরুরি। নিজের প্রস্তুতির উপরে ভরসা রাখতে হবে আর মাঠে নেমে সেরাটা দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy