ফুরফুরে: ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন যুগ। জাতীয় নির্বাচকদের সঙ্গে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। রয়েছেন বিরাট কোহালি, রোহিত শর্মাও। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে দল নির্বাচনী বৈঠকে। টুইটার
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিরাট কোহালিকে বিশ্রাম দিয়েই দল বেছে নেওয়া হল। ৩ নভেম্বর থেকে শুরু তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। যে দলে সুযোগ পেয়েছেন শিবম দুবে, সঞ্জু স্যামসনের মতো তরুণ ক্রিকেটারেরা। বাংলাদেশের সফর নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা কেটে গিয়েছে শাকিব আল হাসানরা বয়কট থেকে সরে আসায়।
প্রত্যাশিত ভাবেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এখনও নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজে নতুন মুখদের সুযোগ দেওয়া হলেও টেস্টে কিন্তু পুরো শক্তির দল নিয়েই নামছে ভারত। তবে রাঁচী টেস্টে অভিষেক হওয়া বাঁ-হাতি স্পিনার শাহবাজ নাদিম সুযোগ পাননি টেস্ট দলে।
বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে দল নির্বাচনী বৈঠকের আগে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি এবং নতুন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে বৈঠকও হয়েছে। সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, এই বৈঠকে ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে কোহালি বলে যান, ‘‘সৌরভ এমন এক জন মানুষ, যে অতীতে বহু ক্রিকেট খেলেছে। ও জানে আমরা কী পরিস্থিতিতে আছি, ভারতীয় ক্রিকেটের কী প্রয়োজন। আমি নিশ্চিত, আলোচনাটা ফলপ্রসূ হবে। আমি এখন ক্রিকেট খেলছি, সৌরভ অতীতে খেলেছে। দু’জনেই পরিস্থিতিটা জানি। অতীতেও আমাদের মধ্যে এই ধরনের আলোচনা হয়েছে।’’
এ দিন দেওধর ট্রফির যে দল বাছা হয়েছে, তাতে বাংলা থেকে চার জন সুযোগ পেয়েছেন। এঁরা হলেন, ব্যাটসম্যান অভিমন্যু ঈশ্বরন, অভিষেক রামন, বাঁ-হাতি স্পিনার শাহবাজ আহমেদ (ভারত এ দলে) এবং পেসার ঈশান পোড়েল (ভারত সি দলে)। এ, বি এবং সি দলের অধিনায়ক হয়েছেন হনুমা বিহারী, পার্থিব পটেল এবং শুভমন গিল। এ বারের দেওধর ট্রফি শুরু হবে ৩১ অক্টোবর। চলবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত।
টি-টোয়েন্টিতে সঞ্জু স্যামসনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান এম এস কে প্রসাদ বলেন, ‘‘সঞ্জুকে আমরা বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে রেখেছি। ঋষভ পন্থই আমাদের এক নম্বর উইকেটকিপার।’’
২০১৮ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে কোনও ফর্ম্যাটেই শতরান পাননি সঞ্জু। মরসুম শেষ হওয়ার পরে দু’তিন মাস সরেছিলেন ক্রিকেট থেকে। ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পরে এ দিন সঞ্জু বলছেন, ‘‘ওই দু’তিন মাস আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করতাম, কেন ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম। তখন লক্ষ্য কী ছিল। উপলব্ধি করি, ক্রিকেট খেলে মজাটা ঠিক উপভোগ করছি না। বরং তার চেয়ে ফলের ব্যাপারে নজর রাখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy