Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

শাকিবদের হাল্কা ভাবে না নেওয়ার পরামর্শ সৌরভের

ভারত ওদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ও এগিয়ে ঠিকই। কিন্তু একটু অসাবধান হলেই পিছলে পড়ার একটা আশঙ্কা এ সব ম্যাচে থেকেই থাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ দেখার পরে যদিও তেমন সম্ভাবনা কমই দেখা যাচ্ছে।

উৎসব: মাঠের লড়াইয়ের আগে মাঠের বাইরে বন্ধুত্ব। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

উৎসব: মাঠের লড়াইয়ের আগে মাঠের বাইরে বন্ধুত্ব। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৭ ০৪:৫২
Share: Save:

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুতে কেউ ভেবেছিল ভারত-বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে সেমিফাইনালে? বাংলাদেশ কিন্তু এখন আর ক্রিকেট দুনিয়ার বামনদের মধ্যে পড়ে না। তথাকথিত বড় দলগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে যাচ্ছে ওরা। প্রতিদিন উন্নতিও করছে।

ভারত ওদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ও এগিয়ে ঠিকই। কিন্তু একটু অসাবধান হলেই পিছলে পড়ার একটা আশঙ্কা এ সব ম্যাচে থেকেই থাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ দেখার পরে যদিও তেমন সম্ভাবনা কমই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ক্রিকেট মাঠে কবে কী হবে, কে বলতে পারে? অশ্বিন দলে ফেরায় রবীন্দ্র জাডেজার ভূমিকাটাই পুরো বদলে গিয়েছে। ভুবনেশ্বর, বুমরা ও হার্দিকের পেস ত্রয়ীকে সামলানো ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। আর ব্যাটিং নিয়ে যতই লিখি, ততই কম মনে হবে। শিখর ধবন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে প্রায় ওর সেরা টুর্নামেন্ট করেই ফেলেছে। মিডল অর্ডারও ভয়ঙ্কর ফর্মে রয়েছে।

বিরাটের ফর্মের সঙ্গে সঙ্গে ওর ক্যাপ্টেন্সিও প্রতি ম্যাচে আরও ধারালো হয়ে উঠছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওর অসাধারণ ক্যাপ্টেন্সির পরিচয় পাওয়া গিয়েছে দারুণ ভাবে। সবচেয়ে বড় কথা দলের ছেলেদের কী করে বড় যুদ্ধের জন্য তৈরি করতে হয়, তা ওর খুব ভাল করে জানা আছে। দলের ছেলেদের বিরাট নিশ্চয়ই বুঝিয়ে দিয়েছে যে বাংলাদেশকে একেবারেই হাল্কা ভাবে নেওয়া উচিত হবে না।

আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম আটে আছে বলেই বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে খেলছে। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ প্রতিটা ম্যাচের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের খেলায় উন্নতি করেছে। শেষে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওরা দেখাল, কতটা ওপরে উঠতে পারে, কতটা ভাল ক্রিকেট খেলতে পারে। ওদের দলের ব্যালান্স কেমন, তা এই ম্যাচেই বোঝা গিয়েছে। এই ব্যালান্সটা ওদের ভারতের বিরুদ্ধে ধরে রাখাটা খুব জরুরি। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং— কোনওটাই ওদের খারাপ নয়। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ওদের মানসিকতার।

দলের সিনিয়রদের উচিত জুনিয়রদের পথ দেখানো। আবেগে ভেসে যাওয়া বা চাপের কাছে মাথানত করা, কোনওটাই যেন ওরা না করে। আর পাঁচটা স্বাভাবিক ম্যাচের মতোই খেলা উচিত।

ভারত-বাংলাদেশ এখন ক্রিকেট দুনিয়ায় একটা বড় শত্রুতা। ইংল্যান্ডে দুই দেশেরই প্রচুর সমর্থক থাকেন আর এই ম্যাচে তাঁরা নিশ্চয়ই থাকবেন। তাই ম্যাচটা যে মাঠের বাইরেও হাড্ডাহাড্ডি হবে, সেই আশা করাই যায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy