নজরে: রাঁচীর বাইশ গজ। যাবতীয় আকর্ষণের কেন্দ্রে। আর্যভট্ট খান
রাঁচীতে ভারত নিশ্চয়ই আবার সেই চেনা ছকে ফিরতে চাইবে। প্রথম ইনিংসে বিশাল রান। উইকেট দেখে দলে তিন নম্বর স্পিনার রাখা। যাতে মাঝে মাঝে আর অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাডেজা-কে একটু বিশ্রাম দেওয়া যেতে পারে। কারণ এই ধরনের পিচে বোলাররা একেবারে শুরু থেকে দারুণ কিছু করতে পারে না।
অস্ট্রেলিয়া যদি ভারতের রান আটকে দেওয়ার স্ট্র্যাটেজিতে যায়, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের রান তোলার গতি কমে যেতে পারে। স্টিভ ও’কিফ চাইবে না ওকে অফ সাইডে খেলে রান তুলুক ব্যাটসম্যানরা। নেথান লায়ন আশা করবে, চোটের জন্য ওর বল স্পিন করাতে কোনও সমস্যা হবে না। জস হেজেলউড-কে হাল্কা ভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আর প্যাট কামিন্সকে নিশ্চয়ই বলা হবে মাথা থেকে সব কিছু মুছে ফেলে বাইশ গজে আগুন ছোটাও।
এই সিরিজে ভারতের শুরুটা সে রকম ভাল হচ্ছে না। কেএল রাহুলের সঙ্গে শুরুতে মুরলী বিজয়কে দায়িত্ব নিতে হবে অস্ট্রেলিয়ার নতুন বলকে সামলে দেওয়ার। দু’জনেই অবশ্য একটা ব্যাপারে খুশি হবে। স্টান্স নিয়ে ওরা যখন চোখ তুলে তাকাবে, উল্টো দিক থেকে মিচেল স্টার্ককে দৌড়ে আসতে দেখবে না। স্টার্ক বলটা ভিতরে নিয়ে আসতে পারে, ব্যাটের খুব কাছ থেকে হঠাৎ করে তুলতে পারে আবার ব্যাটের তলা দিয়ে গলিয়েও দিতে পারে। স্টার্ক এমন এক জন শিকারি যে ব্যাটসম্যানের ডিফেন্সকে ডিমের খোলার মতো ভেঙে ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন: বিরাটরা কেন খারাপ পিচে খেলবে, প্রশ্ন দিলীপ দোশীর
ভারতের পক্ষে ভাল খবর, রাহুল, পূজারা, রাহানে ফর্মে ফিরছে। বিরাট কোহালি কিন্তু কয়েকটা ইনিংস রানের বাইরে আছে। ও যদি চেনা মেজাজে ফেরে, তা হলে ভারতকে ঘরের মাঠে আবার সেই ভয়ঙ্কর দল দেখাবে।
অস্ট্রেলিয়াকে এই টেস্টে ভাল কিছু করতে গেলে অবশ্যই ডেভিড ওয়ার্নারকে বড় রান পেতে হবে। ও যে একেবারে ব্যর্থ, সেটা বলছি না। অস্ট্রেলীয়রা ওপেনিং জুটিতে খারাপ রান তোলেনি। কিন্তু অশ্বিন ধাঁধার সমাধান এখনও পায়নি ওয়ার্নার। অতিথি এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান সব সময় চায় বলটা যাতে ভাল মতো ব্যাটে আসে। বল করার সময় অশ্বিন এই ব্যাপারটা সব সময় মাথায় রাখে।
এই দু’টো দলে এমন দু’জন অধিনায়ক আছে যারা একে অপরের প্রতিবিম্ব। এরা কখনও হারার আগে হারতে জানে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy