ছবি সংগৃহীত।
দু’দেশের সরকারের সবুজ সংকেত পেলে বিরাট কোহালিরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকায় ঝটিকা সফর দিয়ে। অগস্টের শেষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলানোর জন্য ভারতীয় দলকে নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
সে ক্ষেত্রে সেই তিনটি কুড়ি ওভারের ম্যাচই হবে কোহালিদের আন্তর্জাতিক স্তরের ক্রিকেটে ফেরার মঞ্চ। আইপিএল যদি করা সম্ভব হয়ও, তার পরে হবে। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট সম্পর্ক বরাবরই ঐতিহাসিক। একে তো গাঁধী-ম্যান্ডেলার স্মৃতি ক্রিকেটেও ছাপ ফেলেছে। বর্ণবিদ্বেষের কারণে নির্বাসন কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে ফিরেছিল ইডেনে ঐতিহাসিক ম্যাচ দিয়ে। তার নেপথ্যে ছিলেন জগমোহন ডালমিয়া। এ বার তাঁরই শহরের উত্তরসূরি বোর্ড প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে পুরনো সম্পর্ক আরও নিবিড় হলে অবাক হওয়ার থাকবে না।
জানা গিয়েছে, দু’দেশের ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে সম্ভাব্য এই সিরিজ নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের নতুন ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট এবং প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথের সঙ্গে খুবই ভাল সম্পর্ক সৌরভের। এ ছাড়াও দু’দেশের অন্যান্য শীর্ষ কর্তাদের মধ্যেও কথাবার্তা হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) জাক ফাওল জানিয়েছেন, ভারতের দিক থেকে উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া পেয়েছেন। অগস্টের শেষ দিকে সম্ভব না-হলেও পরে কোনও সময়ে এই সিরিজ করতে চান তাঁরা।
ভারতীয় দলের কোনও সফর মানেই আয়োজক দেশের কোষাগার ভরে ওঠার সম্ভাবনা। কারণ বেশির ভাগ দেশেই ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তেরা খেলা দেখতে ভিড় করে আসেন। বেশির ভাগ লগ্নিকারীও ভারতীয় সংস্থা। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড বিশাল ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আগামী চার বছরে তাদের ৪০-৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৩৭৮ কোটি) ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা। কোহালিদের এনে ক্রিকেট সিরিজ করতে পারলে সেই ক্ষতির বোঝা বেশ কিছুটা হাল্কা করা সম্ভব।
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সিইও বলছেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে ভারতীয় বোর্ডের খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ কথাবার্তা হয়েছে। ভারত কথা দিয়ে কথা রাখতে চায়। আমরা আশাবাদী এই সিরিজ নিয়ে।’’ তবে কোহালিদের নিয়ে এই সিরিজ করতে হলে সবার আগে দু’দেশের সরকারের অনুমতি প্রয়োজন হবে। এবং, অবশ্যই দু’দেশে করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির উন্নতি হতে হবে। অ্যালান ডোনাল্ডদের দেশে ৫৫ দিনের লকডাউন অতিক্রান্ত এবং ১ জুন থেকে কিছু ছাড় দেওয়া হলেও পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে না।
দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা করলে আদৌ কোনও আর্থিক লাভ হবে কি না, তা-ও দেখা দরকার। মন্দার ধাক্কায় লগ্নিকারীরা এখনই ক্রিকেটে আগ্রহী হবে কি না, নতুন করে সেই প্রশ্ন উঠছে। ভারতীয় বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল যদিও জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে তাঁদের ইতিবাচক কথাবার্তা হয়েছে। তবে সিরিজ হবে কি না, তা করোনাভাইরাস নিয়ে পরিস্থিতি এবং সরকারের অনুমতির উপর নির্ভর করবে। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সিইও আবার জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যেই আবেদন করে দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy