জুটি: চহালের প্রশ্নের সামনে নতুন রহস্য ফাঁস কুলদীপের। ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাসের থাবায় যদি ক্রীড়া দুনিয়া ওলটপালট না হয়ে যেত, তা হলে ৩১ মার্চ রাত আটটা থেকে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামীতে শুরু হয়ে যেত সেই দ্বৈরথ। মঙ্গলবার দিনটাতেই আইপিএলে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল দীনেশ কার্তিকের কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। যাকে হয়তো বলা হত ‘কুল’ বনাম ‘চা’ দ্বৈরথ। অর্থাৎ কেকেআরের চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদব বনাম আরসিবির লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চহালের টক্কর।
ম্যাচ আপাতত না-হলেও কেকেআরের টুইট করা এক ভিডিয়োয় মনের কথা খুলে বললেন ‘কুল-চা।’ যেমন চহাল বলছেন, ‘‘কেকেআরের কাছ থেকে একটা বার্তা পেলাম। আমাদের ম্যাচটা ৩১ তারিখ হওয়ার কথা ছিল।’’ যা শুনে উল্টো দিকে থাকা কুলদীপ বলে উঠলেন, ‘‘হ্যাঁ, ঠিক তাই। আগের বার সম্ভবত একটা ম্যাচ আমরা জিতেছিলাম, একটা আরসিবি জিতেছিল। এ বার আইপিএলটা হলে আর একটা লড়াই হত মাঠে।’’
কুলদীপের কথা শেষ হওয়ার আগেই কোহালির অন্যতম সেরা অস্ত্র, চহাল বলে উঠলেন, ‘‘ম্যাচের আগের রাতে আমরা ডিনারও করতাম একসঙ্গে।’’ বন্ধুর কথা শুনে মাথা নাড়লেন কেকেআরের চায়নাম্যান বোলার। এর পরেই চহালের মন্তব্য, ‘‘যা চারদিকে চলছে, তাতে আইপিএল হলেও মাঠে দর্শক থাকার সম্ভাবনা ছিল না। আর দর্শকদের ছাড়া খেলার কোনও মজা নেই। তবু আমরা চেষ্টা করছি সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকদের কিছুটা মজা দেওয়ার।’’
সেটা কী ভাবে? ‘চহাল টিভি’ করে বিখ্যাত হয়ে যাওয়া চহাল এ বার প্রশ্ন ছুড়তে শুরু করলেন কুলদীপের দিকে।
চহাল: শুনলাম, তুমি নাকি এখন চিত্রকর হয়ে গিয়েছ? খুব ছবি আঁকছ?
কুলদীপ: আমার খুব ছবি আঁকার শখ। ছোটবেলা থেকেই খুব ছবি আঁকতাম। কিন্তু ক্রিকেট খেলা শুরু করার পরে ছবি আঁকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে মনে হল, আমার প্রতিভাটা ঘষেমেজে নেওয়া যেতে পারে।
এর পরেই কুলদীপ ফাঁস করছেন, ‘‘আজই আমি একটা ছবি এঁকেছি। যা আপনাদের সবাইকে দেখাতে চাই।’’ সঙ্গে সঙ্গে চহাল বলে উঠলেন, ‘‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই, দেখাও আমাদের।’’ এর পরে ভিডিয়োতে একে, একে তিনটে ছবি দেখালেন কুলদীপ। প্রথম দুটি প্রাকৃতিক দৃশ্যের। যা দেখিয়ে নাইট-স্পিনার বলেন, ‘‘প্রথমটা খুব সহজ ছিল, বেশি সময় লাগেনি। দ্বিতীয়টা একটু সময় লেগেছে। কিন্তু আজ যে ছবিটা একেছি, সেটা বেশ কঠিন ছিল। অনেক সময় লেগেছে।’’ তৃতীয় যে ছবিটা এঁকেছেন কুলদীপ, তা হল, ‘এক্স-মেন’ সিনেমাখ্যাত চরিত্র ‘উলভেরিন’-এর। যা দেখিয়ে কুলদীপ বলে ওঠেন, ‘‘এই ছবিটা আঁকতে অনেক সময় গিয়েছে আমার। তবে নাকটা ঠিকঠাক হল না।’’ ছবি দেখে চহাল বলে ওঠেন, ‘‘সুন্দর ছবি। কিন্তু চুলের ছাঁটটা এ রকম কেন? করোনা শেষ হয়ে গেলে ভাল একটা ছাঁট চাই।’’ তবে শুধু ছবি আঁকাই নয়, লকডাউনের সময় কুলদীপদের কিন্তু কঠোর ফিজিক্যাল ট্রেনিংও করে যেতে হচ্ছে। কেকেআরের ট্রেনার ক্রিস ডোনাল্ডসন ফিটনেস চার্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন টিম কেকেআর-কে। যা মেনে চলতে হচ্ছে সবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy