পিটি উষা
স্প্রিন্ট কুইন পি টি উষা মনে করেন, রিও-তে এ বার অ্যাথলেটিক্সে কিছু পদক পেতেই পারে ভারত। ‘‘অ্যাথলেটিক্স এমন একটা ইভেন্ট যেখানে কেউ জোর দিয়ে বলতে পারে না যে পদক পাবেই। তবে আমার মনে হচ্ছে টিন্টু লুকা, ললিতা বাবর, এবং সুধা সিংহ পদক পেতে পারে,’’ বলেছেন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট।
বুধবার বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে একটি অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করতে এখানে এসেছিলেন উষা। ১৯৮৪ অলিম্পিক্সে চারশো মিটার হার্ডলসে অল্পের জন্য পদক পাননি তিনি। সেই আক্ষেপ এখনও রয়েছে উষার। তবে উষার হাতে গড়া তাঁর অ্যাকাডেমির ছাত্রী টিন্টু যে বিদেশের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোতে গিয়ে লাভবান হয়েছেন, সেটা বলছেন উষা। সঙ্গে যোগ করছেন, ‘‘ষোলোশো মিটার রিলেতে ভারতের ছেলে ও মেয়েরা যদি নিজেদের একটু ভাল সময় করতে পারে তা হলে পদক পেতে পারে।’’
ছেলে না মেয়ে— এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে এক সময় দ্যুতি চন্দের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছিল। তা থেকে বেরিয়ে এসে এ বার চমকে দিয়েছেন এই মেয়ে অ্যাথলিট। ১০০ মিটার দৌড়ে ভারতের হয়ে যোগ্যতামান জোগাড় করে হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি। উষা বলছিলেন, ‘‘দ্যুতি যদি ওর ইভেন্টে ১১. ২১ সেকেন্ড সময় করতে পারে তা হলে সেমিফাইনালে চলে যাবে। ওর সে ক্ষমতা আছে। আমি দ্যুতির উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাই না। একশো মিটারে দেশের হয়ে অলিম্পিক্সের ট্র্যাকে নামাটাই তো বড় ব্যাপার।’’
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, দ্যুতি সাহায্য চাইলে করবেন? উষা বললেন, ‘‘আমি জানি দ্যুতি খুব বেশি কথা বলতে ভালবাসে না। চুপচাপ থাকে। ইউরোপিয়ান সার্কিটে যাওয়ার আগে আমি ওর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। বলেছিলাম ওখানে গেলে তুমি রিওতে নামার সুযোগ পাবেই। আর যদি সেটা না করতে পারো তা হলে বাড়িতে বসে থাকো। সে জন্যই ও সুযোগ পাওয়ার পর আমি ওকে প্রথম অভিনন্দন জানিয়েছিলাম।’’ এর পর উষার সংযোজন, ‘‘রিওতে এ বার প্রচুর অ্যাথলিট সুযোগ পেয়েছে। ওদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে ভাল পারফরম্যান্স করার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy