ICC World Cup 2019: World class players who failed in Cricket World Cup 2019 dgtl
ICC World Cup 2019
আশা ছিল ব্যাপক, কিন্তু বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থ এই মহাতারকারা
তাঁদের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। আশা ছিল একার হাতেই হয়তো এনে দেবেন বিশ্বকাপ। কিন্তু গ্রুপ পর্বই পার করতে পারলেন না তাঁরা। দেখে নিন কারা আছে এই তালিকায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ১৪:০৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
দের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। আশা ছিল একার হাতেই হয়তো এনে দেবেন বিশ্বকাপ। কিন্তু গ্রুপ পর্বই পার করতে পারলেন না তাঁরা। দেখে নিন কারা আছে এই তালিকায়।
০২১৩
কাগিসো রাবাডা: সারা জাগানো পেস বোলার। এ বারের বিশ্বকাপে অনেকেরই আশা ছিল তাঁকে নিয়ে। কিন্তু নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকাও পারেনি নকআউট পর্বে যেতে।
০৩১৩
এ বারের বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র ১১ উইকেট। মোট ৭৮ ওভার বল করে ৩৯৭ রান দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে সব থেকে বেশি রান দিয়েছেন তিনিই। দলের সেরা বোলার সব চেয়ে বেশি রান দিলে দলের যে করুণ অবস্থা হবে তা বলাই বাহুল্য।
০৪১৩
হাসিম আমলা: এই আফ্রিকান ওপেনার এক সময় ছিলেন দলের সেরা এবং সবচেয়ে ভরসার ব্যাটসম্যান। কিন্তু এ বারের বিশ্বকাপে সেই ভরসা যোগাতে একেবারেই ব্যর্থ তিনি। বার বার ওপেনারদের খারাপ ফর্ম ভুগিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
০৫১৩
এ বারের বিশ্বকাপে ৭ ইনিংসে আমলার সংগ্রহ মাত্র ২০৩ রান, স্ট্রাইক রেট ৬৪.৮৬। আমলা ধিরে শুরু করলেও পরে রান তুলে নিতে পারেন। কিন্তু এ বারের বিশ্বকাপে সেই কাজটাই করতে পারেননি তিনি।
০৬১৩
ক্রিস গেল: বলাই যায় এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। চার বছর পর তাঁর পক্ষে খেলা চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন। মনে করা হচ্ছিল, এ বারের বিশ্বকাপটা নিজের নামে করতে চাইবেন ইউনিভার্স বস। টিম হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এ বারে কেউ বিশ্বকাপের দাবিদার মনে না করলেও আশা ছিল গেলকে নিয়ে।
০৭১৩
সেই গেল চরম হতাশ করলেন। ৮ ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ ২৪২ রান, গড় ৩০.২৫। সব চেয়ে আশ্চর্যের তাঁর স্ট্রাইক রেট ৮৮.৩২। যা একেবারেই গেল সুলভ নয়। এখন বোধহয় শুধুই তাঁর অবসরের অপেক্ষা। শেষ হতে চলেছে এক ক্যারিবিয়ান যুগের।
০৮১৩
আন্দ্রে রাসেল: আরেক ক্যারিবিয়ান দৈত্য। যার অতিমানবিক ক্রিকেট দক্ষতা আইপিএল-এ দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন, বিশ্বকাপেও দারুন কিছু করবেন। কিন্তু চোট তাঁকে পুরো টুর্নামেন্ট খেলতেই দেয়নি। মাঝপথেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে। তবে যত দিন ছিলেন আশাহত করেছেন বার বার।
০৯১৩
ব্যাট হাতে তিন ইনিংসে ৩৬ রান। আর বল হাতে চার ম্যাচে পাঁচটি উইকেট। চোট পেয়ে ফেরার আগে এই তাঁর দলের হয়ে অবদান। টি-২০ আর একদিনের ক্রিকেটের মধ্যে যে বিশাল তফাত তার প্রমাণ বোধহয় এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম।
১০১৩
ফখর জামান: ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে তাঁর কাছেই হেরে গিয়েছিল ভারত। এ বারের বিশ্বকাপেও তাঁকে নিয়ে অনেক আশা ছিল পাক বাহিনীর। কিন্তু সেই আশার রূপ দিতে ব্যর্থ তিনি। ওপেনে নেমে সে ভাবে দাগ কাটতে পারেননি।
১১১৩
মাত্র ১৮৬ রান করেছেন ৮ ইনিংস খেলে। গড় ২৩.২৫। একটি মাত্র অর্ধশতরান। তা ছাড়া কোনও ইনিংসই সেই ভাবে উল্লেখযোগ্য নয়।
১২১৩
মাশরাফে মর্তুজা: বাংলাদেশ অধিনায়ক শুধু মাত্র অধিনায়কত্ব ছাড়া এ বারের বাংলাদেশ দলে সুযোগই পেতেন কিনা সন্দেহ। তাঁর থেকে ভাল বোলার বোধহয় বাংলাদেশের দলে ছিল। ছিল ভাল ব্যাটসম্যানও। তাঁর ফিল্ডিং-ও সেই পর্যায়ের নয় যে প্রচুর রান বাঁচিয়েছেন বা ক্যাচ নিয়েছেন।
১৩১৩
৮ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন মাত্র একটি উইকেট, দিয়েছেন ৩৬১ রান। অনেক ম্যাচেই নিজের দশ ওভার কোটা শেষ করেননি। অথচ শুরুতে বল করতে এসে দিয়েছেন অনেক রান। পাঁচ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে করেছেন ৩৪ রান। এক সময়ের অলরাউন্ডার আজ কোনও বিভাগেই নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না।