উদ্বেগ: আঙুলে চোট কোহালির। স্প্রে করছেন ফিজিয়ো। এএফপি
এক দিকে নেটে চলছে বিশ্বজয়ের প্রস্তুতি। আবার নেটের বাইরে দেখা যাচ্ছে খোশমেজাজের ভারতীয় দলকে।
শনিবারও ধরা পড়ল একই ছবি। সাউদাম্পটনের নেটে বিরাট কোহালিদের অনুশীলনের পরে ক্রিকেটারেরা মেতে উঠলেন সতীর্থ দীনেশ কার্তিকের জন্মদিনে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের টুইটে পোস্ট করা এক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কেক কাটছেন কার্তিক। এবং সতীর্থরা ‘বার্থ ডে বয়’-কে কেকও খাইয়ে দিচ্ছেন।
তবে ভারতীয় প্র্যাক্টিসে এ দিন সামান্য চিন্তার ছায়া দেখা যায় কোহালির আঙুলের চোট নিয়ে। নেটে অনুশীলনের সময় ডান হাতের বুড়ো আঙুলে চোট লাগে কোহালির। ফিজিয়ো প্যাটট্রিক ফারহার্টকে দেখা যায়, মাঠের মধ্যেই কোহালির আঙুলের চিকিৎসা করছেন। তাঁর আঙুলে স্প্রে করা হয়। এর পরে ঠান্ডা জলের গ্লাসে আঙুল ডুবিয়ে রাখতেও দেখা যায় ভারতীয় অধিনায়ককে।
নেটে আরও দেখা গিয়েছে, শর্ট বলের বিরুদ্ধে ভারত অধিনায়কের মহড়া। কোহালিকে দেখা যায় বাউন্সার সামলাতে। কখনও তিনি ‘ডাক’ করেন, কখনও বা পুল শট খেলেন। হার্দিক পাণ্ড্য, যশপ্রীত বুমরাদের গত কয়েক দিনে দেখা গিয়েছে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ওপর জোর দিচ্ছেন। এ দিন হার্দিককে ফিটনেস ট্রেনিং করতে দেখা যায়।
আগামী ৫ জুন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে কোহালির ভারত। এ দিন হাতের চোট নিয়ে প্রাথমিক ভাবে কিছুটা অস্বস্তিতে দেখা যায় কোহালিকে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগের সৃষ্টিও হয়েছে। যদিও রাত পর্যন্ত ভারতীয় শিবির থেকে এই নিয়ে কোনও খবর জানানো হয়নি।
ইংল্যান্ডের মাটিতে পা দিয়ে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে ভারত। যেখানে নিউজ়িল্যান্ডের কাছে হারতে হলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সহজেই জেতে ভারত। ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন কে এল রাহুল এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। যা নিঃসন্দেহে চিন্তামুক্ত করেছে ভারতীয় শিবিরকে। কোহালি তো বলেই দিয়েছেন, ‘‘চার নম্বরে নেমে রাহুলের সেঞ্চুরিটাই বাংলাদেশের ম্যাচ থেকে আমাদের সব চেয়ে বড় প্রাপ্তি।’’ একই সঙ্গে ধোনির ঝোড়ো ইনিংস অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছেন, পুরোনে সেই এমএসডি-কে। ওয়াসিম আক্রমের মতো কিংবদন্তি পেসার তো ধোনিকে ভারতের তুরুপের তাসও ধরছেন।
বিশ্বকাপের আগে ধোনিকে নিয়ে যে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল, তা হল, তিনি কি পুরনো মেজাজে ব্যাট করতে পারবেন? অর্থাৎ শুরু থেকে কি তিনি স্ট্রোক খেলতে পারবেন, না উইকেটে থিতু হতে সময় নেবেন? অনেকেই মনে করছিলেন, ধোনিকে এখন আর পাওয়ারহিটারদের তালিকায় রাখা যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ধোনি দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি কী করতে পারেন।
ভারতের আরও একটা সমস্যা ছিল, মিডল এবং লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটিং। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের পরে কোহালি বলেছিলেন, ‘‘আমাদের মি়ডল অর্ডার এবং লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদেরও তৈরি থাকতে হবে। বিশ্বকাপে এমন অনেক ম্যাচ হতে পারে, যেখানে হয়তো টপ অর্ডার ভাল খেলতে পারল না। তখন মিডল এবং লোয়ার অর্ডারকে দায়িত্ব নিতে হবে।’’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরে সেই চিন্তা কিছুটা কমেছে।
প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের আর একটি প্রাপ্তি হল, কুলদীপ যাদবের ফর্মে ফেরা। তিনি তিন উইকেট নেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। অন্য স্পিনার, যুজবেন্দ্র চহালও তিন উইকেট নেন। ফলে দুই স্পিনার ছন্দে ফিরেছেন বলেই মনে করছেন অনেকে। আইপিএলে ফর্মে ছিলেন না কুলদীপ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই চায়নাম্যান বোলারকে পরের দিকে বসিয়েও দেয় দল। তখন অবশ্য অনেকই বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টির সঙ্গে বিশ্বকাপকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। দেখা গেল, অন্তত প্রস্তুতি ম্যাচে কুলদীপ বুঝিয়ে দিলেন, ৫০ ওভারের ক্রিকেটের জন্য তিনি তৈরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy