গর্জন: দুরন্ত ইয়র্কারে আফগানিস্তানের শেষ ব্যাটসম্যানের স্টাম্প ছিটকে দিয়ে উল্লাস লাসিথ মালিঙ্গার। মঙ্গলবার কার্ডিফে। গেটি ইমেজেস
৩৪ রানে জয়ী শ্রীলঙ্কা (ডি-এল পদ্ধতি)
শ্রীলঙ্কা ২০১ (৩৬.৫)
আফগানিস্তান ১৫২ (৩২.৪)
তিনি ফুরিয়ে যাননি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে লাসিথ মালিঙ্গা বলেছিলেন, তিনি আরও একটা হ্যাটট্রিক করতে পারেন বিশ্বকাপে। হ্যাটট্রিক হয়তো হয়নি। কিন্তু আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে মালিঙ্গার হাত থেকে বেরিয়ে এল সেই বিষাক্ত ইয়র্কার। যা শেষ দিকে দু’বার আফগানিস্তান ব্যাটসম্যানদের স্টাম্প ছিটকে দিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দিল শ্রীলঙ্কাকে।
বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন বিস্ময় হিসেবে এখন দেখা হচ্ছে আফগানিস্তানকে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও লড়াই করতে ছাড়েননি আফগান ক্রিকেটারেরা। এ বার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও জ্বলে ওঠেন তাদের স্পিনাররা। বিশেষ করে অফস্পিনার মহম্মদ নবি। নবির বোলিংয়ের সামনে শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয়ে গেল ২০১ রানে। আফগান অফস্পিনার ন’ওভারে ৩০ রান দিয়ে তুলে নেন চার উইকেট। কার্ডিফে বৃষ্টির জন্য এই ম্যাচ অনেকটা সময় বন্ধ থাকায় আফগানিস্তানের সামনে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ১৮৭। কিন্তু শ্রীলঙ্কা বোলারদের দাপটে আফগানিস্তান ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৫২ রানে।
শ্রীলঙ্কার এই ম্যাচ জেতার পিছনে নায়ক তাদের দুই পেসার। নুয়ান প্রদীপ এবং মালিঙ্গা। প্রদীপ চারটে এবং মালিঙ্গা তিনটে উইকেট নেন। আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোরার নাজিবুল্লাহ জাদরান ৪৩ করে রান আউট হয়ে যান।
বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ধাক্কা খেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে উড়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এই অবস্থায় আফগানিস্তান ম্যাচে নামার আগে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক মালিঙ্গা বলেছিলেন, ‘‘আফগানিস্তানের ম্যাচ আমাদের কাছে মরণ-বাঁচন লড়াই। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হবে আমাদের।’’ শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও তাদের বোলাররা দলকে টিকিয়ে রাখল বিশ্বকাপে।
আফগানিস্তান যে উপ-মহাদেশীয় ক্রিকেটে বড় শক্তি হয়ে উঠে আসছে, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল সেই এশিয়া কাপের সময়। যখন তারা শ্রীলঙ্কাকে হারায়। আবার ভারতের সঙ্গেও ম্যাচ টাই করে। তখনই রশিদ খানরা বলে রেখেছিলেন, ‘‘বিশ্বকাপেও আমরা অনেক অঘটন ঘটাব।’’
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের পরে তাদের প্রাক্তন অধিনায়ক কুমার সঙ্গকারা ব্যাটসম্যানদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সঙ্গকারা বলছিলেন, ‘‘এক জন ব্যাটসম্যানকে সবার আগে ঠিক করতে হবে, পরের বলটায় আমি কী ভাবে খেলব। এটা সম্পর্কে যদি এক জন ব্যাটসম্যানের পরিষ্কার ধারণা থাকে, তা হলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’
শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের দেখে অবশ্য মনে হয়নি, তাদের পরিষ্কার ধারণা আছে কী করে আফগানিস্তানের স্পিনারদের সামলাতে হবে। একমাত্র ব্যতিক্রম কুশল পেরেরা। ওপেন করতে নেমে ৮১ বলে ৭৮ করে যান পেরেরা। এর পরের সর্বোচ্চ রান অধিনায়ক করুণারত্নের (৩০)। প্রথম উইকেটের জুটিতে পেরেরা এবং করুণারত্নে মিলে ৯২ রান তুলে দেওয়ার পরে মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচে হয়তো বড় রান করতে পারবেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। নবি এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। শ্রীলঙ্কা দলে বেশ কয়েক জন বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান থাকায় নবির কাজ কিছুটা সহজ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy