জুটি: ভারতের দুই সেরা অস্ত্র। শামি ও বুমরা। ফাইল চিত্র
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন ভারতকে। বিরাট কোহালির দলের সেই হ্যাটট্রিককারী নায়ক ম্যাচ শেষে সেই মুহূর্তের কথা জানিয়েছেন ভক্তদের। আর বিসিসিআই টিভির হয়ে শামির সেই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ভারতের আর এক বিখ্যাত পেসার যশপ্রীত বুমরা। যিনি শামির সঙ্গেই শেষের দিকের ওভারে আঁটসাঁট বল করে চেপে ধরেছিলেন আফগান ব্যাটসম্যানদের।
সাউদাম্পটনে শনিবার খেলার পরে শামির এই সাক্ষাৎকার নেন ম্যাচ সেরা বুমরা। তবে শামিকেই তিনি উল্লেখ করেন ম্যাচের সেরা তারকা হিসেবে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৯.৫ ওভার বল করে ৪০ রানে চার উইকেট নেন শামি।
সে তথ্য দর্শকদের জানিয়ে, বুমরা সাক্ষাৎকারের শুরুতেই শামিকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘শুরুতে তো তুমি ভালই বল করেছিলে। তার পরে শেষ ওভারে যখন বল করতে এলে, তখন তোমার মনের ভিতর কী চলছিল?’’ জবাবে শামি বলেছেন, ‘‘আমার বিশ্বাস ছিল ওরা পারবে না। কারণ, তার আগের ওভারেই তুমি পাঁচ রান দিয়েছ। তাই আমার শেষ ওভারে ১৬ রান তুলতে হত আফগানিস্তানকে। তাই বিশ্বাস ছিল শেষ ওভারে ১৬ রান তুলে জিততে পারবে না আফগানরা।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘শেষ দু’ওভারে যখন ২১ রান তুলতে হত, তখনই আত্ববিশ্বাসী ছিলাম। কারণ, উল্টো দিকে যশপ্রীত বুমরা রয়েছে। ওর ওভারে বেশি রান তুলতে পারবে না আফগানিস্তান। তাই নিশ্চিত ছিলাম, আমার ওভারে সমস্যা হবে না। আমরাই জিতব। কারণ শেষ ছয় বলে কম রান নিয়ে লড়তে হলে তখন সমস্যা হয়। বোলারকে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার রাস্তায় হাঁটতে হয়। তখনই খারাপ বল হয়ে গেলে ব্যাটসম্যান সুযোগ নেয়।’’
বুমরা এর পরেই শামিকে মনে করিয়ে দেন, বিশ্বকাপে চেতন শর্মার পরে দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব। ভারতের ‘ইয়র্কার সম্রাট’ বুমরা বলেন, ‘‘হ্যাটট্রিক করাই খুব কঠিন কাজ। সেখানে বিশ্বকাপের ম্যাচে হ্যাটট্রিক। চেতন শর্মার পরে দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে হ্যাটট্রিক। এই অনুভূতিটা কী রকম?’’ জবাবে শামি বলেন, ‘‘দারুণ অনুভূতি। তুমিই তো বললে হ্যাটট্রিক করা খুব কঠিন কাজ। তাও এবার বিশ্বকাপে। দুর্দান্ত লাগছে। এ রকম একটা কিছু করার সুযোগ পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’’
পাশাপাশি, বুমরা প্রশ্ন করেন সাউদাম্পটনের উইকেট প্রসঙ্গে। বলেন, ‘‘উইকেট কি মন্থর লাগছিল? তার মধ্যেও তো শুরুটা তুমি বেশ ভাল করেছিলে। শেষের দিকে এসেও চমক দেখালে। বোলিংয়ে কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছিল?’’
শামি জবাব দেন, ‘‘শুরুতে বল সিম হচ্ছিল। মাঝখানে স্পিনাররা যখন বল করছিল, তখনই রানটা বাড়িয়ে নিয়েছিল আফগানিস্তান। এই সময় কয়েকটি জুটিও গড়ে ওঠে ওদের। কিন্তু এটা জানতাম শেষ দশ ওভারে আমি আর তুমি মিলে যে পরিকল্পনামাফিক বল করব, তা সামলাতে পারবে না বিপক্ষ। ম্যাচেও সেটাই হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy