উচ্ছ্বাস: তিন উইকেট নিয়ে নিউজ়িল্যান্ডের নায়ক হেনরি। গেটি ইমেজেস
বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যকার হিসেবে তাঁর অভিষেকের দিনেই মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের অনুমান ছিল, গত বারের রানার্স নিউজ়িল্যান্ড এ বারও সেমিফাইনালে যেতে পারে।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নিউজ়িল্যান্ডও শনিবার আভাস দিল, বিপক্ষকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে কেন উইলিয়ামসনের দল।
শুক্রবার যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আগুনে বোলিংয়ের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল পাকিস্তানের ব্যাটিং। ঠিক সে রকম ভাবেই শনিবার কার্ডিফের সবুজ পিচে লকি ফার্গুসন (৩-২২) ও ম্যাট হেনরির (৩-২৯) দুরন্ত পেস বোলিংয়ের সামনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দ্বীপরাষ্ট্রের ব্যাটিং। ম্যাচের সেরা হেনরি। ম্যাচ শেষে তিনি বলে গেলেন, ‘‘সবুজ উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়েই এই সাফল্য। গত বছর কেন্টের হয়ে খেলার সুফল পাচ্ছি। বোলিং ও ব্যাটিংয়ের মতো আমাদের ফিল্ডিংও আজ দুর্দান্ত হয়েছে।’’
টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ২৯.২ ওভারে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়ে যায় ১৩৬ রানে। জবাবে ১৬.১ ওভারেই জয়ের জন্য ১৩৭ রান তুলে খেলা শেষ করে দেন নিউজ়িল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপ্টিল (৫১ বলে ৭৩ রান) ও কলিন মুনরো (৪৭ বলে ৫৮ রান)। এই দু’জনের ব্যাটিং দাপটে ম্যাচে ফেরার কোনও সুযোগই পাননি লাসিথ মালিঙ্গারা।
১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে খুশি নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তিনি বলছেন, ‘‘শুরুটা দারুণ হল। এই পিচে আমাদের কোনও সমস্যা হয়নি। টস জিতে শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেওয়ায় সুবিধা হয়ে গিয়েছিল আমাদের। ৩০ ওভার পর্যন্ত সেই চাপ বিপক্ষ দলের উপরে রেখে দেওয়ার জন্য বোলারদের ধন্যবাদ।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘আমাদের ওপেনাররাও আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করেছে আজ। সব মিলিয়ে এ রকম সার্বিক পারফম্যান্সের ফলে দলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’’
নিউজ়িল্যান্ডের পেসারদের এ রকম দাপটের সামনে শ্রীলঙ্কার হয়ে ওপেন করতে নেমে ৫২ রানে অপরাজিত থেকে যান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিডলি জেকবসের পরে তিনিই দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে গেলেন।
কিন্তু ১০ ওভারের মধ্যে লাহিরু থিরিমান্নে (৪), কুশল পেরেরা (২৯) ও কুশল মেন্ডিসকে (০) তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কার লড়াই শেষ করে দেন হেনরি। মিডল অর্ডারে ধনঞ্জয় ডি সিলভা (৪), জীবন মেন্ডিসকে ফেরান লকি ফার্গুসন। আর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ফেরান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে (০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy