—ফাইল চিত্র।
এবি ডিভিলিয়ার্সকে নিয়ে নতুন চর্চায় মুখর ক্রিকেটবিশ্ব। আর প্রাক্তন তারকাকে নিয়ে বিরক্তি ক্রমশ বাড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে।
সেই প্রসঙ্গে ফ্যাফ ডুপ্লেসিদের কোচ ওটিস গিবসন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অবসর নিয়ে এবি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা নিয়েই তাঁকে চলতে হবে। জাতীয় দলে ফিরে আসার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় না কোনও ক্রিকেটারের কাছে দেশের হয়ে খেলার জন্য ভিক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে।’’ সেখানে না থেমে গিবসন আরও বলেছেন, ‘‘গত বছর এবি-র অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল খুবই খারাপ। সেই সিদ্ধান্ত না নিলে ও হয়তো আমাদের সঙ্গে এই বিশ্বকাপে খেলতে পারত।’’
প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড জানায়, বিশ্বকাপে খেলার জন্য এবি ব্যক্তিগত ভাবে অনুরোধ করেছিলেন অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি এবং ওটিস গিবসনের কাছে। কিন্তু জাতীয় দলের নির্বাচকেরা তাঁর ফেরার প্রস্তাব নাকচ করে দেন।
আজ, সোমবার হ্যাম্পশায়ার বোলে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার আগে বারবার করে এবি-র প্রসঙ্গ উঠে আসায় কিছুটা বিরক্তই গিবসন। তিনি বলেছেন, ‘‘ডিভিলিয়ার্স অবসর নেওয়ার পরে আমরা প্রায় সমস্ত সিরিজেই জিতেছি। এবং সেই সময়ে এবি নিয়ে এত প্রশ্নের মুখেও আমাকে পড়তে হয়নি।’’ গিবসন আরও যোগ করেন, ‘‘বিশ্বকাপে হঠাৎ করেই কয়েকটা ম্যাচে বাজে খেলার পরেই পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। এবং এটা প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে যে, এই অবস্থায় এবি-ই আমাদের দলের ত্রাতা হয়ে উঠতে পারে। এটা মানা যায় না। ও নিজে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা যেমন তা মেনে নিয়েছি, ঠিক সে ভাবেই ওকেও নিজের মতো করে এখন চলতে হবে।’’
গিবসন জানিয়েছেন, দলে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করে এ বি তাঁকে ফোন করেছিলেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘‘আমার যত দূর মনে পড়ে, যে দিন বিশ্বকাপের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দল ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল, খুব সম্ভবত সে দিন সকালেই ও আমাকে টেলিফোন করেছিল। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের কথা হয়েছিল। পরে আমি জানতে পারি, এবি না কি দলে ফেরার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু তখন তো কিছু করার ছিল না।’’ গিবসন আরও বলেছেন, ‘‘ওর অবসর সম্পর্কেও আমার স্বচ্ছ ধারণা ছিল না। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এক ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতার সময়ে ওর সঙ্গে আমার অবসর নিয়ে কথা হয়েছিল। এবি আমাকে বলেছিল, ও ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। তার পরে তো আর কিছু বলার থাকতে পারে না।’’ ক্ষুব্ধ দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কোচের মন্তব্য, ‘‘এবি নিজে যত না এই দলে থাকার জন্য আগ্রহী, তার চেয়ে বাইরের লোকেরা ওকে এখানে বেশি করে দেখতে চাইছে। আমার কাছে এই মুহূর্তে এবি-প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনাই খুব বিস্ময়কর লাগছে।’’
প্রথম তিন ম্যাচে হার। বিশ্বকাপের শেষ চারের দৌড়ে থাকতে হলে যে কোনও মূল্যে জিততেই হবে জেসন হোল্ডারদের বিরুদ্ধে। সেই যুদ্ধের জন্য তাঁর দল কতটা তৈরি? গিবসনের মন্তব্য, ‘‘বারবার করে একই প্রশ্নের উত্তর দিতেও খুব অস্বস্তি হয়। আমার কেমন যেন মনে হয়, কোনও এক আদালত কক্ষে মামলা চলছে। আমরা নিজেদের বক্তব্য জানাতে এসেছি। দল জেতার মানসিকতা নিয়েই খেলবে।’’
তবে তাতেও বিতর্ক কাটছে না। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কাগিসো রাবাডার দিকেও ধেয়ে এসেছিল এবি-প্রসঙ্গ। ডান হাতি ফাস্ট বোলার বলে দেন, ‘‘আমার মনে হয়, এই ব্যাপারটার মীমাংসা হয়ে গিয়েছে। সত্যি বলতে, এই মুহূর্তে আমরা যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছি, তাতে মাঠের বাইরের ব্যাপারগুলো নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত হবে না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা তো কোনও বিষয় নিয়ে কারও কাছে অভিযোগ করতে যাইনি। তা হলে কেন বারবার করে এবি-প্রসঙ্গ টেনে আনা হচ্ছে? আমরা সেই বিষয়কে আমল দিতে চাই না।’’
চলতি বিশ্বকাপে দলের টানা ব্যর্থতা নিয়ে রাবাডা বলেছেন, ‘‘চোট আমাদের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কল্পনাও করতে পারেননি, ডেল স্টেনকে এ ভাবে ছিটকে যেতে হবে। তবে এখনও আমাদের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তাকে হাতছাড়া হতে দেওয়া যাবে না। আমাদের দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ খুবই স্বাস্থ্যকর।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy