Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

দিল্লির দূষণ দেখে নতুন নিয়মের প্রশ্ন আইসিসি-তে

ভারতীয় বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে কারণ, দিল্লির দূষণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। আগে থেকেই তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

চর্চায়: তোলপাড় চান্দিমালদের মুখোশ পরা নিয়ে। ফাইল চিত্র

চর্চায়: তোলপাড় চান্দিমালদের মুখোশ পরা নিয়ে। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০৪
Share: Save:

মারাত্মক দূষণের মধ্যেও দিল্লিতে ফিরোজ শাহ কোটলায় টেস্ট ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তোপের মুখে পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল এ নিয়ে আইসিসি-র কাছে নালিশ পর্যন্ত জানিয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) ভারতীয় বোর্ডে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রধান প্রশাসক বিনোদ রাই-এর কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছে, এমন অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির মধ্যেও যে ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা বিস্ময়কর।

শ্রীলঙ্কার ম্যানেজার এবং অর্জুন রণতুঙ্গার সেই বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য গুরুসিংঘে দাবি করেছেন, আম্পায়ারদের হাতে এ বার থেকে দূষণ মাপক যন্ত্র (এয়ার কোয়ালিটি মিটার) দেওয়া হোক। ঠিক যেমন আলো কমে এসেছে কি না, তা দেখার জন্য আম্পায়ারের হাতে এখন লাইট মিটার থাকে। শোনা যাচ্ছে, দিল্লি টেস্ট নিয়ে হইচইয়ের পর আইসিসি এ নিয়ে ভাবতে পারে। এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের আইনে দূষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিছু বলা নেই। ফিরোজ শাহ কোটলার অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে ভবিষ্যতে দূষণ আইনও আনা হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে।

সেই সঙ্গে ভারতীয় বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে কারণ, দিল্লির দূষণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। আগে থেকেই তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দিতে হয়েছে, হাফ ম্যারাথন দৌড়তে আসেননি অনেক প্রতিযোগী। তা হলে কেন সব জেনেশুনেও টেস্ট ম্যাচ দিল্লিতে রাখা হল? আইএমএ যেমন বোর্ডকে পাঠানো তাদের চিঠিতে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করে লিখেছে, ‘কোটলায় টেস্ট ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে যেন বার্তা দিয়ে দেওয়া হল, মারাত্মক দূষণের মধ্যেও ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া ক্ষতিকর নয়। অথচ ক্রিকেট এমন একটা ছেলে, যা অনেক বাচ্চাও দেখে এবং খেলা দেখে শেখার চেষ্টাও করে।’

আরও পড়ুন: স্টেনের দেশে বিরাট জয়ের আশায় রাহুল

চিঠিতে এমনও বলা হয়েছে যে, দূষণের মাত্রা বেশি হলে আউটডোর কোনও খেলাই খেলতে বারণ করা হয়। সেখানে ক্রিকেট কী করে চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে? প্রসঙ্গত, ক্রিকেট খেলায় পাঁচ দিন ধরে ছয় ঘণ্টা খেলার মাধ্যমে অনেক বেশি এনার্জি লাগে। বিশেষ করে বোলিং বা ফিল্ডিংয়ের সময় বেশি দম খরচ হয় বলে শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট বেড়ে যেতে পারে দূষণের সময়। দিল্লিতে ঠিক সেটাই ঘটেছিল শ্রীলঙ্কা বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ের সময়। ফিল্ডিংয়ের সময় শ্রীলঙ্কার সব ক্রিকেটার মুখোশ পরে নেমেছিলেন। বোলারদের মধ্যে অন্তত দু’জন মাঠের মধ্যে বমি করেন।

গুরুসিংঘে জানিয়েছেন, এ ছাড়াও তাঁদের অনেক ক্রিকেটার ড্রেসিংরুমে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ভারতীয় দলেও মহম্মদ শামি মাঠের মধ্যে বমি করেন। ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারেরা বাড়াবাড়ি করছিলেন। হয়তো কিছুটা ঠিক যে, ম্যাচে চাপের মধ্যে থাকায় সময় নষ্ট করার কৌশল কিছুটা নিয়েছিল অতিথিরা। কিন্তু দিল্লির পরিস্থিতি যে মোটেও খেলার উপযুক্ত ছিল না, তা সকলেই ভিতরে-ভিতরে স্বীকার করবেন।

বল এখন আইসিসি-র কোর্টে। ভবিষ্যতে লাইট মিটারের মতো কি আম্পায়ারদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বাতাসের শুদ্ধতা মাপার যন্ত্র? আলো কমে আসার মতোই দূষণ বেড়ে যাওয়ার জন্য ক্রিকেটে চলে আসবে নতুন ‘ব্রেক’? আইসিসি সূত্রে যা খবর, এ নিয়ে আলোচনা হতেই পারে নিয়ামক সংস্থার পরের সভায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy