বিদায় কলকাতা। এ বার ঘরে ফেরা। বিমানবন্দরে গেইল ও বিরাট-অনুষ্কা। রবিবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
প্রশ্ন: এর চেয়ে ভাল শুরু আর কী হতে পারে?
গেইল: সত্যিই খুব ভাল হল শুরুটা। জয়টা পেয়ে দলের সবাই খুব খুশি। এ রকম একটা জয় দিয়ে সবাই শুরু করতে চায়। জমজমাট ক্রিকেট হল। দু’দলই ভাল খেলেছে। জয়ী দলে থাকতে পারাটা আমার পক্ষে ভাল। আমার ইনিংসটা দুর্দান্ত হয়েছে ঠিকই, তবে দলের সবারই এই জয়ে কিছু না কিছু অবদান রয়েছে। একেবারে শেষ পর্যন্ত লড়েছে আমাদের ছেলেরা। হর্শল পটেল আর আবু নাচিমই তো খেলাটা শেষ করল।
প্র: কলকাতা নাইট রাইডার্স আর ইডেন গার্ডেন্স এই দুটো ব্যাপারই কি আপনার ভেতর থেকে সেরাটা বার করে আনে?
গেইল: ইডেন আমার নিজের মাঠের মতো। যেন ঘরের মাঠ। এখানে অনেকবার খেলেছি। টেস্ট ক্রিকেটও খেলেছি। সত্যি বলতে, এখানে খেলাটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা। কাল কত হাজার দর্শক ছিল ঠিক জানি না। কিন্তু পরিবেশটা দুর্দান্ত ছিল। দর্শকরা সবসময় যদি আপনার জন্য গলা ফাটায়, তা হলে ভাল লাগবে না? তবে যতই গলা ফাটাক, জানতাম কেউই চায় না যে, আরসিবি জেতে। যেটুকু চেঁচিয়েছে, এই ক্রিস গেইলের জন্যই। যার জন্য ওদের স্রেফ আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যখনই এখানে ব্যাট হাতে নামি, সেই চেষ্টাই করি। আইপিএলে তো আনন্দটাই আসল। আশা করি এ রকমই আনন্দ দিয়ে যেতে পারব।
প্র: রান তাড়া করতে নেমে আরসিবি-র ব্যাটসম্যানরা প্রচুর শট খেলেছে। এটা কি ক্যাপ্টেনের নির্দেশ?
গেইল: অবশ্যই! প্র্যাকটিসে আর খেলার আগে টিম মিটিংয়ে ক্যাপ্টেন পরিষ্কার বলে দিয়েছিল আমাদের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। বলে দিয়েছিল, ‘কোনও চাপ নেই, ক্রিকেটকে উপভোগ করো আর নিজেকে মেলে ধরো’। সবাই সেই চেষ্টাই করেছে।
প্র: সতেরো নম্বর ওভারে উল্টো দিক থেকে হর্শল পটেলকে রান নিতে বারণ করলেন। নিজেই ‘ফিনিশ’ করার কথা ভাবছিলেন তখন?
গেইল: আমি আসলে পুরো কুড়ি ওভার ব্যাট করতে চাইছিলাম আর দলকে জেতাতে চাইছিলাম। আমি না থাকলেও শেষ পর্যন্ত অবশ্য তা-ই হল। কোনও সময় ‘প্যানিক’ করিনি। আমার দক্ষতা আমি জানি আর জানি কী করতে পারি, না পারি। দলকে জয় এনে দেওয়ার বিশ্বাসটা ছিল।
প্র: টুর্নামেন্টের শুরুতেই বড় রান পেয়ে যাওয়াটা কেমন ব্যাপার?
গেইল: ইনিংসটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফর্মটা ধরে রাখার চেষ্টা করব। আর আত্মতুষ্টি আসতে দেওয়া চলবে না। ঘরের মাঠেও এ রকম একটা বড় ইনিংসের দিকে তাকিয়ে আছি।
প্র: সেঞ্চুরি না পেয়ে আফসোস?
গেইল: একেবারেই না। দলের জয়টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক খেলা বাকি। কোনও না কোনও একটায় সেঞ্চুরি এসেই যাবে। কিন্তু এই জয়টা খুব দরকার ছিল।
প্র: ইদানীং আপনার ব্যাটিংয়ে আগ্রাসন ও সাবধানতা দুটোই মিশে থাকছে। এটা কি আপনার উপলব্ধির ফলস্বরূপ?
গেইল: শুরুর দিকে নতুন বল বেশ ঝামেলা করে। সে জন্যই বুঝেশুনে খেলতে হয়। এটাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। ব্যাপারটা বুঝে নিলে ইনিংসটা ধরে নেওয়া সহজ হয়। এখানে আমি আমার নিজের খেলাটা খেলতে এসেছি। সারা টুর্নামেন্টে এ রকমই খেলব। বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় যে রকম খেলি।
প্র: আইপিএলে কত রান করবেন বলে ঠিক করেছেন?
গেইল: (হেসে) কে জানে? আশা করি প্রচুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy