জেমস অ্যান্ডারসন। —ফাইল চিত্র।
৭০০ উইকেটে নজর জেমস অ্যান্ডারসনের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অধিনায়ক আজহার আলিকে ফিরিয়ে ৬০০ উইকেট নিয়ে রেকর্ড করেছেন তিনি। তার পরই ইংল্যান্ডের ডানহাতি পেসারের মুখে শোনা গিয়েছে পরবর্তী লক্ষ্যের কথা।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বাধিক উইকেটশিকারী হলেন জেমস অ্যান্ডারসন। মুথাইয়া মুরলীথরন (৮০০ উইকেট), শেন ওয়ার্ন (৭০৮ উইকেট) ও অনিল কুম্বলের (৬১৯ উইকেট) পরেই রয়েছেন অ্যান্ডারসন। পেসার হিসাবে ছ’শোর ক্লাবে তিনিই একমাত্র। এই অবস্থায় ৭০০ উইকেটে না পৌঁছনোর কোনও কারণ দেখছেন না তিনি। ৩৮ বছর বয়সি পেসার বলেছেন, “আমাকে পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ সিরিজে দেখতে চাইছে অধিনায়ক জো রুট। আর তা না হওয়ার কোনও কারণ আমার চোখে পড়ছে না। ফিটনেস নিয়ে সব সময় খেটে চলছি আমি। নিজের খেলা নিয়েও খাটছি।”
প্রথম পেসার হিসেবে টেস্টে ৬০০ উইকেট নেওয়া অ্যান্ডারসনের কথায়, “গ্রীষ্ম জুড়ে প্রত্যাশিত মানে বল করতে পারিনি। কিন্তু এই টেস্টে ঠিক জায়গায় বল করে গিয়েছি। মনে হচ্ছে দলের কাজে আসার ক্ষমতা এখনও আমাররয়েছে। যত দিন এটা মনে হবে, তত দিন আমি খেলে যাব। ইংল্যান্ডের এক জন ক্রিকেটার হিসেবে শেষ টেস্ট জিতে ফেলেছি বলে মনে করি না। আমি কি ৭০০ উইকেটে পৌঁছতে পারব? কেন নয়?”
আরও পড়ুন: স্পিন গ্রহে সুইং সম্রাট অ্যান্ডারসন, ৬০০ ক্লাবে প্রথম পেসার
আরও পড়ুন: গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে খেলতে ম্যানচেস্টার সিটিতে যাচ্ছেন মেসি?
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই টেস্টে কেরিয়ারের ২৯তম পাঁচ উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডারসন। সিম বোলারদের মধ্যে একমাত্র নিউজিল্যান্ডের রিচার্ড হ্যাডলি এর চেয়ে বেশি বার টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। অ্যান্ডারসন জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর খিদে মোটেই কমেনি। তাঁর কথায়, “আমরা এখনও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে রয়েছি। আমাদের সামনে এখনও সিরিজ রয়েছে। জেতার জন্য সামনে টেস্ট রয়েছে। আর তাতেই আমার আগ্রহ। এখনও প্রতি দিন সকালে ট্রেনিংয়ে যেতে ভালবাসি। ইংল্যান্ডের হয়ে জেতার জন্য আমি মুখিয়ে থাকি। ড্রেসিংরুমে সবার সঙ্গে থাকতে ভাল লাগে। আমি এগুলোতেই মনোযোগ দিচ্ছি। জিমে পরিশ্রম করব, নির্বাচনের যোগ্য রাখব নিজেকে। নির্বাচকদের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলব। তবে যত ক্ষণ কোচ ও অধিনায়ক আমাকে চাইছেন ,আমি পরিশ্রম করে যাব। এই দলে খেলার ক্ষমতা ধরি, সেটা প্রমাণ করতে থাকব।”
৬০০ উইকেটের ব্যাপারে অ্যান্ডারসন বলেছেন, “বছরের পর বছর ধরে নিজের স্কিল নিয়ে মাজাঘষা করছি। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলছি, নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। ২০০৩ সালে নিজের প্রথম টেস্টে খেলার সময় ভাবিইনি যে ৬০০ উইকেটের কাছাকাছি পৌঁছব!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy