সাংবাদিক বৈঠকে মেসি। ছবি রয়টার্স
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ঠিকানা খুঁজে পেলেন লিয়োনেল মেসি। কাতালান শহর বার্সেলোনায় ২১ বছর কাটানোর পর বুধবার থেকে তাঁর নয়া ঠিকানা প্রেমের, ছবির শহর প্যারিস।
পুরো চুক্তির ব্যাপারটাই এত দ্রুত হয়েছে যে অনেক মেসি সমর্থকই এখনও ভাবতে পারছেন না। ঘোর কাটছে না তাঁদের। তবে এই দ্রুততার পিছনে রয়েছে দুজন মানুষের হাত। এঁরা হলেন পিএসজি-র প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফি এবং স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিয়োনার্দো।
কী ভাবে সম্ভব হল মেসির চুক্তি?
মেসি যে প্যারিসে আসবেন, এটা গত বৃহস্পতিবার সকালেও ভাবতে পারেননি কেউ। বাবা জর্জকে নিয়ে ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মেসি। কিন্তু বার্সেলোনা সভাপতি জোয়ান লাপোর্তা যখন বলেন যে নিয়মের বেড়াজালে মেসিকে সই করানো যাবে না, তখন হতাশ হয়ে পড়েছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা।
Our new 💎
— Paris Saint-Germain (@PSG_English) August 12, 2021
This is just the beginning ...
❤️💙 #PSGxMESSI pic.twitter.com/39cppjOeYI
Inside Leo Messi's unveiling day. ❤️💙#PSGxMESSI pic.twitter.com/zR96mo4H5I
— Paris Saint-Germain (@PSG_English) August 11, 2021
সে দিন বার্সেলোনার সময় ঠিক রাত দশটায় মেসির সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করে পিএসজি। সাধারণত ক্লাবগুলি এজেন্টের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করে। কিন্তু পিএসজি সরাসরি যোগাযোগ করেছিল মেসির বাবা জর্জের সঙ্গে। কিছুক্ষণ পরে জর্জের সঙ্গে কথা হয় আল খেলাইফির। আলোচনা গড়ায় গভীর রাত পর্যন্ত। শুক্রবার সারা দিনও এই নিয়ে কথা হয়। পিএসজি-র তরফে যে প্রস্তাব দেওয়া হয় তা মেসি এবং জর্জে, দু’জনের কাছেই লোভনীয় মনে হয়েছিল। পাশাপাশি পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে অতিরিক্ত বোনাসের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় মেসিকে। তা ছাড়া, পিএসজি-র দুই প্রধান কর্তা যে ভাবে নিজে থেকে সব দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তা আপ্লুত করেছিলেন মেসি এবং তাঁর বাবাকে।
শনিবার সব কিছু কার্যত চূড়ান্ত হয়ে যায় এবং রবিবার সকাল দশটা নাগাদ সরকারি ভাবে একটি চুক্তি পাঠানো হয় মেসির কাছে। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে মেসি বলেছিলেন চুক্তির ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে সব কিছুই ঠিক হয়ে গিয়েছিল ততক্ষণে। চুক্তির বিস্তারিত খতিয়ে দেখার জন্য দু’দিন সময় নিয়েছিলেন মেসির আইনজীবীরা। সোমবার রাতের মধ্যেই সেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। চূড়ান্ত চুক্তি হয়ে যায় মঙ্গলবার সকাল দশটার মধ্যে। তার কিছুক্ষণ পরেই সপরিবার প্যারিসের বিমান ধরেন মেসি।
পিএসজি-র ড্রেসিংরুমে উচ্ছ্বাস অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল শুক্রবার থেকেই। নেমার গোটা দলকেই বলে দিয়েছিলেন যে মেসি যোগ দিচ্ছেন। এমনকী মেসিকে তিনি নিজে বার্তা পাঠিয়ে পিএসজি-তে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করছিলেন। মেসি নিজেও নেমারের পাশে খেলা নিয়ে উত্তেজিত ছিলেন। তবে বার্সেলোনা তাঁর কাছে বরাবরই প্রথম পছন্দ ছিল। এপ্রিলে পিএসজি যখন প্রথম বার প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল তখন মেসি তা নাকচ করে দেন। এমনকী তার আগে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি প্রস্তাব দেওয়ার সময়ও মেসির উত্তর ছিল একই।
কিন্তু আল খেলাইফি এবং লিয়োনার্দোর বুদ্ধি এবং দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার কারণেই পিএসজি তুলে নিল বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy