লড়াকু: জাপানের বিরুদ্ধেও জিততে মরিয়া ভারত। ফাইল চিত্র।
এশীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকিতে সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। রবিবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জাপানের মুখোমুখি হচ্ছে ভারতীয় দল। হকিতে জাপান নিশ্চয়ই হেলাফেলা করার মতো প্রতিপক্ষ নয়। যে কোনও দলকে চমকে দেওয়ার ক্ষমতা তাদের রয়েছে। এশীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জাপানের সেরা ফল ২০১৩ সালে দ্বিতীয় স্থান অর্জন। ভারত এই প্রতিযোগিতা জিতেছে
তিন বার।
রবিবারও সকলের নজর থাকবে ভারতের তারকা হরমনপ্রীত সিংহের উপর। ড্র্যাগ-ফ্লিকারের দক্ষতা ভারতের সম্পদ এবং কোনও সন্দেহ নেই জাপানের রক্ষণের কাছে তিনিই সব চেয়ে বড় ত্রাস হতে চলেছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচেও ৩-১ জয়ে দু’টি গোল করেছেন হরমনপ্রীত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পেনাল্টি কর্নার থেকে খুব সাফল্য আদায় করতে না পারলেও পাকিস্তান ম্যাচে অসাধারণ খেলেছিলেন। পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করায় বিশেষজ্ঞ হরমনপ্রীত এবং জাপানের প্রধান লক্ষ্য থাকবে ভারতের সেরা অস্ত্রকে শান্ত রাখার। অন্য দিকে, জাপান সব চেয়ে বেশি করে তাকিয়ে থাকবে তাদের অধিনায়ক সেরেন তানাকার দিকে। ২৮ বছর বয়সী সব চেয়ে অভিজ্ঞ নন কিন্তু প্রতিভার জোরে এখনই অধিনায়ক। জাপানের হকি দলের ইঞ্জিন বলা যেতে পারে তাঁকে। গোল করার সুযোগ তৈরি হবে তাঁর স্টিকেই। ২০১৮-তে জাপানের যে হকি দল এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছিল, তার সদস্য ছিলেন তানাকা। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে পাঁচটি গোল করে আয়োজক দেশের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন তিনিই।
প্রতিযোগিতায় খুব ভাল শুরু করতে না পারলেও পর-পর দু’টো ম্যাচ জিতে দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে অলিম্পিক্সের ব্রোঞ্জজয়ীরা। বলা হচ্ছিল, টোকিয়োতে ঐতিহাসিক ব্রোঞ্জ জিতেছে ভারতীয় দল। বহু দিন পরে হকি নিয়ে আগ্রহ ফিরেছিল মানুষের মনে। কিন্তু চলতি প্রতিযোগিতায় প্রথম ম্যাচে কোরিয়ার সঙ্গে ২-২ ড্র করায় সেই প্রত্যাশা কিছুটা ধাক্কা খায়। সেখান থেকে দারুণ ভাবে নিজেদের ফিরিয়ে এনেছেন ভারতীয় খেলোয়াড়েরা। আয়োজক দেশ বাংলাদেশকে তাঁরা হারিয়েছেন ৯-০ গোলে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে শুক্রবার হারিয়েছেন ৩-১ গোলে। যদিও হকিতে পাকিস্তান আর আগের মতো শক্তিশালী দেশ নেই, তাদের সেই গৌরব অনেক দিনই অতীত। এই মুহূর্তে তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারত। কোরিয়া (৫), জাপান (২) এবং পাকিস্তান (১) পিছিয়ে রয়েছে তাদের থেকে। বাংলাদেশ এখনও কোনও পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি।
সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে ভারতই এই প্রতিযোগিতায় ফেভারিট হিসেবে খেলতে নেমেছে। প্রথম ম্যাচের জড়তা কাটিয়ে সেই ফেভারিট তকমার প্রতি সুবিচার করাও শুরু করেছে। কোরিয়ার বিরুদ্ধে ড্র তাদের জাদিয়ে তুলতে পেরেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ থেকেই অনেক বেশি আগ্রাসী শরীরী ভাষা নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচেও সেই আধিপত্য দেখা গিয়েছে। তবে ম্যাচের শেষের দিকে পাকিস্তান যে ভাবে আক্রমণ শানিয়েছিল, তা সতর্কবার্তা ভারতীয় রক্ষণের জন্য।
ললিত উপাধ্যায়, আকাশদীপ সিংহ এবং দিলপ্রীত সিংহকে নিয়ে তৈরি ভারতীয় আক্রমণ ভাগ ঝড় তোলার ক্ষমতা রাখে। মাঝমাঠ সামলানোর দায়িত্বে অধিনায়ক মনপ্রীত সিংহ। গোলরক্ষক সূরজ কারকেরাও দারুণ ছন্দে আছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশেষ করে তিনি দুর্ভেদ্য প্রহরী হয়ে উঠেছিলেন। সাম্প্রতিকতম রেকর্ডও
ভারতের দিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy