বাংলাদেশ সিনিয়র ক্রিকেট কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
একমাস আগেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন চণ্ডিকা হাথুরুসিংহ। এতদিন পর তা খোলসা করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান। তিনি জানান, তার পর থেকে হাথুরুসিংহ বোর্ডের সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি। কিন্তু তিনি নাকি জানিয়েছিলেন, ১৫ নভেম্বর তিনি ঢাকায় যাবেন।
গতমাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়ই তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র বোর্ডকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি লিখেছিলেন তিনি আর বাংলাদেশের কোচ থাকার ব্যাপারে আগ্রহী নন। নাজমুল হাসান বলেন, ‘‘অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ও আমাকে একটি চিঠি দেয়। যতদূর মনে পড়ছে দ্বিতীয় টেস্টের পর। ১৫ অক্টোবরের আগের ঘটনা। কারণ তেমনভাবে কিছুই লেখেনি। আমি জানতে চাই কী ঘটেছে যাতে এই সিদ্ধান্ত। তাতে ও বলে, আমার আগ্রহ নেই।’’ অতীতেও এমন ঘটেছে। ২০১৬র অগস্টে যখন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের তরফে অফার এসেছিল তখনও কোনও কারণ না দেখিয়েই পদত্যাগ চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন
দূষণের জেরে সমস্যায় দিল্লি হাফ ম্যারাথন
আইপিএল-এর আগামী সভা গরম হতে পারে প্লেয়ার ধরে রাখা নিয়ে
নাজমুল হাসান বলেন, ‘‘আমি তখন জানতাম ওর কাছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের অফার রয়েছে। কিন্তু এ বার আমি কিছুই জানি না। আরও ভাল অফার থাকতে পারে বা পারিবারিক সমস্যা হতে পারে। এর বাইরে কিছু হলে বলতে পারব না।’’ যা খবর হাথুরুসিংহ বিসিবি-র সঙ্গে আর কোনও রকম যোগাযোগ করেননি। শুধু একবারই ফোনে কথা যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, নভেম্বরে ঢাকায় যাবেন। নাজমুল বলেন, ‘‘কেউ যদি থাকতে না যায়, তা হলে নোটিস পিরিয়ড দিয়ে কী হবে? ও একজন পেশাদার কোচ। কিন্তু হঠাৎ করে সিরিজের মাঝে চিঠি দিয়ে তার পর চুপ করে বসে থাকাটা মনে হয় ঠিক নয়। আমাদের জানাতে পারত সমস্যাটা কী।’’
জানা গিয়েছে বেশ কিছু ক্রিকেটারের ব্যবহারে রীতিমতো বিরক্ত ছিলেন কোচ। যে সব ক্রিকেটাররা তাঁর কথা শুনতেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy