গোড়ালির চোট ছাড়াও টেনিস এলবোর চোটে জর্জরিত হলেও সচিনের ব্যাট থামেনি। ফাইল চিত্র
২৪ বছরের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সফরে একাধিক বার চোটের কবলে পড়েছেন। ১৯৯৯ সালের আগে পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক চললেও তার পর থেকে একের পর এক চোট-আঘাতে ভুগেছেন সচিন তেন্ডুলকর। গোড়ালির চোট ছাড়াও টেনিস এলবোর চোটে জর্জরিত হয়েছেন তিনি। তবে কখনও হার না মানা অদম্য জেদের উপর ভর করে অতিক্রম করেছেন সব বাধা। কিন্তু একবার শোয়েব আখতারের বলে তাঁর পাঁজর ভাঙার বিষয়ে অবগতই ছিলেন না লিটল মাস্টার। সেটা জানালেন সচিন।
২০০৭ সালে ভারত সফরে এসেছিল পাকিস্তান। সে বার গুয়াহাটিতে প্রথম একদিনের ম্যাচ খেলার সময় শোয়েবের বলে পাঁজরে চোট পেয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনার কথা তুলে ধরে সচিন বলেন, “২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের প্রথম ওভারে শোয়েবের একটা বল আমার পাঁজরে লাগে। সেই জন্য প্রায় এক-দুমাস যন্ত্রণায় ঘুমোতে পারতাম না। তবে খেলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেই ‘রিব গার্ড’ তৈরি করেছিলাম। এর মধ্যে আবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ শেষ করে অস্ট্রেলিয়া সফরে চলে যাই। সেখানে গিয়ে টেস্ট ও একদিনের সিরিজ খেলতে থাকি। তবে অস্ট্রেলিয়া সফরের শেষ দিকে কুঁচকির চোট বড় হয়ে দাঁড়ায়। তাই দেশে ফিরে সারা শরীর স্ক্যান করার সিদ্ধান্ত নিই। সেই সময়ই আমার ডাক্তার আমায় পাঁজর ভাঙার বিষয়ে জানায়।”
শোয়েবের কাছ থেকে পাওয়া সেই চোটের জন্য ২০০৮ সালের আইপিএল-এর সাতটি ম্যাচ খেলতে পারেননি সচিন। শেষে বলেন, “আমার পাঁজরের যে বেহাল অবস্থা সেটা জানতাম না। আমি তো কুঁচকির চোট নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু ডাক্তার আমার শরীর স্ক্যান করার পর জানতে পারি পাঁজরের হাড় ভেঙে গিয়েছে। সেই জন্য আইপিএল-এর সাতটা ম্যাচ খেলতে পারিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy