Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
India

কেন হোটেলের ঘরে একা পায়চারি করতেন সচিন তেন্ডুলকর?

সচিনের সময় বিপক্ষের বোলিং আক্রমণ ছিল শক্তিশালী। তেমনই তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছিলেন ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং, ইনজামামরা।

একটা সময় উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় রাত জেগেছেন সচিন তেন্ডুলকর।

একটা সময় উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় রাত জেগেছেন সচিন তেন্ডুলকর। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২১ ২২:৪২
Share: Save:

দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সফরে অগণিত রাত জেগে কাটিয়েছেন। চিন্তা তাঁকে গ্রাস করেছে। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় টিম হোটেলের ঘরে একা পায়চারি করেছেন। এমনই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করলেন খোদ সচিন তেন্ডুলকর। ২৪ বছরের সফরে বিরাট কোহলী, রোহিত শর্মাদের মতো তাঁকে মাসের পর মাস কঠিন জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকতে না হলেও সচিন মনে করেন তাঁর সফরের ১০-১২ বছর খুবই কঠিন ছিল।

একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন মাস্টার ব্লাস্টার। তিনি বলেন, “বয়স বাড়ার সঙ্গে আমি বুঝতে পেরেছিলাম শুধু শারীরিক সক্ষমতা ও ব্যাটের দাপটে বিপক্ষকে জব্দ করা সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ধারাবাহিক ভাবে সাফল্য পেতে হলে মানসিক জোর থাকা খুবই জরুরী। তাই প্রতি ম্যাচে মাঠে যাওয়ার অনেক আগে আমার লড়াই শুরু হয়ে যেত। আর সেই জন্য নিজের উপর প্রচণ্ড মানসিক চাপ তৈরি হত। কিন্তু আমি কোনওদিন এই চাপ থেকে বেরোতে পারিনি।”

সচিনের সময় বিপক্ষের বোলিং আক্রমণ ছিল শক্তিশালী। তেমনই ব্যাটিংয়ের দিক থেকে তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছিলেন ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং, ইনজামাম উল হকরা। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা শোনাতে গিয়ে সচিন যোগ করেন, “আন্তর্জাতিক সফরের প্রথম ১০-১২ বছর মানসিক চাপ আরও বেশি ছিল। দল কেমন খেলবে, আমি কতটা অবদান রাখতে পারব সেটা ভেবে অগণিত রাত জেগে কাটিয়েছিলাম। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় টিম হোটেলের ঘরে একা পায়চারি করেছি। কিন্তু এতে লাভ হয়নি। বরং চাপ বেড়েছে। তবে পরের দিকে এতটা চাপ নিতে চাইনি। বয়স বাড়ার সঙ্গে বোধ শক্তিও বেড়েছিল।”

ওই কঠিন সময় ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে কীভাবে প্রস্তুত হতেন সচিন? সেটাও জানালেন। বলেন, “সেই সময় নেট মাধ্যম ছিল না। ফলে বিদেশে থাকার সময় ইচ্ছে করলেই পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে চাপ কমানোর উপায় ছিল না। তবে এই মানসিক চাপ থেকে বেরনোর জন্য হোটেলের ঘরে ‘শ্যাডো’ করা ছাড়াও টিভি দেখে কিংবা ভিডিয়ো গেম খেলে সময় কাটাতাম। তাছাড়া খেলার দিন সকালে নিজের হাতে চা বানানো থেকে শুরু করে জামা-কাপড় ইস্ত্রি করে ব্যাগ গোছানো ছিল গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এগুলো করে চাপ কমানোর চেষ্টা করতাম।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy