আলেকজান্ডার জ়েরেভ। ছবি: রয়টার্স।
আইনি সমস্যায় জার্মানির টেনিস খেলোয়াড় আলেকজান্ডার জ়েরেভ। প্রাক্তন বান্ধবী তাঁর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন। এই অভিযুক্ত জ়েরেভকে উঠতে হবে আদালতের কাঠগড়ায়। ৩১ মে থেকে টানা আট দিন চলবে শুনানি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তি হতে পারে জার্মানির টেনিস তারকার।
বেশ কিছু দিন আগে জ়েরেভের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর প্রাক্তন বান্ধবী। তদন্ত শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত জ়েরেভকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়নি। আইনজীবীর মাধ্যমে আইনি লড়াই চালিয়েছেন। মে মাসেও তাঁকে বার্লিনের টিয়ারগার্টেন জেলা আদালতে হাজিরা দিতে হবে না। কারণ এই শুনানিতে তাঁর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয়। আইনজীবী তাঁর হয়ে সওয়াল করতে পারবেন। আদালতের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘আসামিকে নীতিগত এবং ব্যক্তিগত ভাবে উপস্থিত হতে হবে না। কারণ তিনি আগে শাস্তির আদেশের বিরুদ্ধে সওয়াল করেছেন। এই শুনানি তার পরের পর্যায়ের।” উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরে আদালত জ়েরেভকে জরিমানা করেছিল।
প্রাক্তন বান্ধবীর অভিযোগ নিয়ে জ়েরেভ কখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। আদালত জরিমানা করার পর প্যারিসে একটি প্রতিযোগিতার সময় তাঁর কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে উত্তর দিতে অস্বীকার করেন। জ়েরেভ শুধু বলেছিলেন, ‘‘আমি মামলা নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না। কারণ বিষয়টা বিচারাধীন রয়েছে।’’
জ়েরেভের আইনজীবী বার্লিনের এক চিকিৎসকের দেওয়া ফরেন্সিক রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, অভিযোগকারীর পেশ করা প্রমাণগুলিকে অবোধ্য এবং পরস্পরবিরোধী বলে খারিজ করছে ফরেন্সিক রিপোর্ট। পরে তিনি আদালতে বলেন, শাস্তির আদেশ ঘোষণার ক্ষেত্রেও পদ্ধতিগত গুরুতর ভুল হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছিলেন, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট যুক্তি এবং তথ্য জ়েরেভের কাছে রয়েছে।
আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন জানানোর সময় জ়েরেভ অবশ্য দেশে নেই। তিনি এখন রয়েছেন মেলবোর্নে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলছেন বিশ্বের ছয় নম্বর টেনিস খেলোয়াড়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy