সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
সব ঠিকঠাক চললে ত্রিপুরার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হতে চলেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ত্রিপুরা সরকারের পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী কলকাতায় এসে সৌরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সৌরভের বেহালার বাড়িতে মন্ত্রী সুশান্তের সঙ্গে যান ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দফতরের সচিব উত্তমকুমার চাকমা ও ওই দফতরের অধিকর্তা তপনকুমার দাস। পুষ্পস্তবকের পাশাপাশি ত্রিপুরার বিখ্যাত ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের একটি মডেল সৌরভকে উপহার দেন তাঁরা।
বছর দেড়েক আগে ঋদ্ধিমান সাহা বাংলার প্রতি একরকম ক্রুদ্ধ হয়েই ত্রিপুরার দলে যোগ দেন। ওই রাজ্যের হয়ে রঞ্জিও খেলেছেন। বর্তমানে ঋদ্ধি ত্রিপুরার প্লেয়ার কাম মেন্টর। এই আবহে এ বার সৌরভ সে রাজ্যের পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলেন।
প্রাক্তন অধিনায়ককে ত্রিপুরার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার প্রস্তাব দেন সুশান্ত। প্রথমে এ বিষয়ে ভেবে দেখার সময় চাইলেও, পরে তাদের নিজের সম্মতির কথা জানিয়ে দেন সৌরভ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি বর্তমানে আইপিএলের দিল্লির দলের সঙ্গে যুক্ত। সেই কাজ থেকে বিরতি নিয়ে সদ্যই কলকাতায় ফিরেছেন তিনি। তাঁর কলকাতায় ফেরার খবর পেয়েই ত্রিপুরা সরকারের প্রতিনিধিরা সৌরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কলকাতায় আসেন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার পক্ষ থেকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে সুশান্ত এসেছিলেন কলকাতায়। সৌরভ তাদের প্রস্তাবের সহায় দেওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন মন্ত্রী সুশান্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রস্তাবে দাদা সম্মতি দিয়েছেন। ত্রিপুরার মানুষের কাছে অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আগামী মাস থেকেই ত্রিপুরা সরকার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে তাদের কাজ শুরু করবে।’’ পরে টুইটে মানিক সৌরভকে শুভেচ্ছাও জানান।
সূত্রের খবর, ২ মার্চ ত্রিপুরা দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসে বিজেপির নেতৃত্বাধীন মানিকের সরকার। তার পরেই পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাতে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের খোঁজ শুরু হয়। সূত্রের খবর, ত্রিপুরার বাঙালির মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য মুখ হিসাবে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের নাম উঠে এসেছিল সরকারের আলোচনা। তার পরেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব নিয়ে কলকাতায় এসে সৌরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুশান্ত। আপাতত ভারতের সফলতম ক্রিকেট দলের অধিনায়ককে নিজেদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে পেয়ে তাঁরা খুশি বলেই জানিয়েছেন সুশান্ত।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর নাম মানিক সরকার বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এই অনিচ্ছাকৃত ভ্রান্তির জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy