বিপ্লব দেব, মানিক সাহা এবং রাজীব ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
রবিবার দিল্লি থেকে আগরতলায় ফিরেই সাংবাদিক বৈঠক করে ‘বোমা ফাটিয়েছিলেন’ তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সেই মন্তব্য ঘিরে সোমবার দিনভর জল্পনা চলছে ত্রিপুরা বিজেপিতে। দলের একাংশের মতে প্রকাশ্যে ‘বহিরাগত নেতাদের’ উদ্দেশে তোপ দাগলেও বিপ্লবের আসল নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, ‘‘আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।’’
গত মার্চে বিধানসভা ভোটের পর ত্রিপুরা বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদল শুরু হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবের অনেক অনুগামী ছাঁটাই হয়েছেন বলে দলের অন্দরের খবর। এই পরিস্থিতিতে রবিবার দিল্লি থেকে আগরতলায় এসে বিপ্লব তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠক করেন, তার পরে বলেন, ‘‘বাইরে থেকে আসা কিছু লোক দলের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন। তা বরদাস্ত করা হবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে তিনি পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন বলেও সাংবাদিক বৈঠকে জানান।
বিপ্লব-শিবির সূত্রের খবর, দলের সর্বভারতীয় পদাধিকারীদের একাংশের মদতে মানিক ত্রিপুরা বিজেপিতে নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছেন। প্রসঙ্গত, বিপ্লব গত আড়াই দশকেরও বেশি সময় ধরে সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত। অন্য দিকে, একদা কংগ্রেস-ঘনিষ্ঠ মানিক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৬ সালে। পেশায় দন্ত্যচিকিৎসক এই নেতা ২০২০ সালে ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি হয়েছিলেন।
২০১৮ সালে বিধানসভা ভোটে বিজেপির জয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিপ্লব। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য এবং প্রশাসনিক অদক্ষতার অভিযোগ উঠতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের মে মাসে বিপ্লবকে সরিয়ে মানিককে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। বিপ্লবকে পাঠানো হয় রাজ্যসভায়। তার পর থেকেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ‘বিক্ষুব্ধ’ বলে জল্পনা দলের অন্দরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy