সুনীল ছেত্রী। —ফাইল চিত্র।
খেলা তখনও শুরু হয়নি। যুবভারতীতে হয়তো সবে হাজার পাঁচেক দর্শক ঢুকেছেন। সকলে অপেক্ষায় সুনীল ছেত্রীর। কখন তাঁর দেখা পাওয়া যাবে, কখন তিনি হাত নাড়বেন। তাঁর জন্যই তো মঞ্চ সাজানো। সুনীলের মুখোশ, জার্সিতে সাজছে যুবভারতী। আর তার মাঝে তীব্র প্রতিবাদ এক সাত বছরের শিশুর। সে কুয়েত থেকে এসেছে। দলের জয় দেখতে চায়। উল্টো দিকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক অবসরের পথে। তা নিয়ে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই তার। বছর ২৫-এর এক ভারতীয় সমর্থকের সঙ্গে ঝগড়া জুড়ে দিল সেই সাত বছরের ছোট্ট কুয়েতি।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ভারতীয় দলের বাস ঢোকে যুবভারতীতে। সামনের আসনেই ছিলেন সুনীল। বাস থেকে নেমে এক পরিচিতকে দেখতে পেয়ে হাত মিলিয়ে সোজা চলে গেলেন সাজঘরে। একে একে নেমে এলেন ভারতের বাকি ফুটবলারেরা। বাকিদের কাছে এটি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচ হলেও সুনীলের কাছে বৃহস্পতিবারটা একটু আলাদা। এ দিনই যে শেষ বার ভারতের জার্সিতে খেলতে নামবেন তিনি। যুবভারতীর বাইরেই শ’দেড়েক সমর্থক দাঁড়িয়ে ছিলেন সুনীলকে আমন্ত্রণ জানাতে। তাঁদের চিৎকারে স্টেডিয়ামে প্রবেশ সুনীলের।
সাজঘরে তৈরি হয়ে নেমে পড়লেন মাঠে আবার সেই চিৎকার। ‘সুনীল, সুনীল’, নামে যুবভারতী কাঁপাচ্ছেন তখন সেই হাজার পাঁচেক দর্শকই। আর তার একটু আগেই ভিআইপি গ্যালারি থেকে কুয়েতের পতাকা হাতে হুঙ্কার দিচ্ছিল সেই সাত বছরের শিশু। নীচে ভারতের এক সমর্থক ‘ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া’ বলে চিৎকার করছে। আর উত্তর দিচ্ছে ওই শিশু। বেশ কিছু ক্ষণ বাগ্যুদ্ধের পর আঙুল উঁচিয়ে চুপ করতে বলল সে। ভারতীয় সমর্থক তখন সুনীলের মুখোশ দেখাচ্ছেন। সহ্য হল না কুয়েতের ছোট্ট সমর্থকের। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাবাকে অভিযোগ করল। তাতে কাজ না হওয়ায় নিজেই চিৎকার করে উঠল, “শাট আপ।”
গ্যালারি যদিও সেই সময়ই সুনীলের জয়ধ্বনি শুরু করেছে। কারণ মাঠে নেমে পড়েছেন ভারত অধিনায়ক। গ্যালারির দিকে নমস্কার জানিয়ে অনুশীলন শুরু করে দিলেন। হয়তো এটাই শেষ বার। তবুও গায়ে তো ভারতের জার্সি। নিজের সেরাটা যে এই ম্যাচেও দিতে হবে। গ্যালারি তৈরি। তৈরি সুনীলও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy