মেসিরা কাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন ছবি রয়টার্স
কোপা আমেরিকার পর ফাইনালিসিমা। এক বছরের মধ্যে দু’টি ট্রফি জিতল আর্জেন্টিনা। দীর্ঘ দিন ধরে ট্রফির কাছাকাছি এসেও অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছিল না দল। ১৯৯৩-এ শেষ বার কোপা আমেরিকা জিতেছিল। তার পর থেকে বেশ কিছু প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেললেও ট্রফি হাতে তুলতে পারেনি তারা। ২০১৪-র বিশ্বকাপ ফাইনাল তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। শেষ পর্যন্ত লড়েও জার্মানির কাছে হারতে হয়েছিল। কিন্তু এক বছরে দু’টি খেতাব শেষ বার কবে তারা জিতেছে, সেটা মনে করতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই মনে করছেন, ২০২২ কাতার বিশ্বকাপেও ফেভারিট হিসাবে নামবে আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার এই বদলের পিছনে রয়েছে ফুটবলারদের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য। যে-ই যখন মাঠে নামুন, নিজের সেরাটা দিচ্ছেন। প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে কথা বলছেন। ফাইনালিসিমা জিতে দলের এই সাহসের কথাই বলেছেন লিয়োনেল মেসিও। ভুল কিছু বলেননি। এই আর্জেন্টিনা দল সত্যিই আগের দলগুলির থেকে আলাদা। বছরের শেষে কাতার বিশ্বকাপে মূলত এঁরাই খেলবেন। মেসির বিশ্বজয়ের শেষ চেষ্টায় শামিল হতে হবে তাঁদেরই।
তবে অবাক করা ব্যাপার একটাই। হাতে গোনা দু’-এক জন বাদে পরিচিত ফুটবলার প্রায় নেই এই দলে। লিয়োনেল মেসি, অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া, পাওলো ডিবালার মতো কিছু নাম বাদ দিলে বাকি যাঁরা খেলেন, তাঁরা মোটেই ক্লাবস্তরে ততটা পরিচিত নন। ব্রাজিলে যেখানে প্রায় প্রত্যেক ফুটবলারই ইউরোপের প্রথম সারির দলে নিয়মিত খেলেন, সেখানে আর্জেন্টিনায় সেই সংখ্যা অত্যন্ত কম। আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে থাকা সে রকম কিছু অনামী ফুটবলারের কথা জানাল আনন্দবাজার অনলাইন।
Campeones, campeones 🏆🥳#Finalissima | @CopaAmerica pic.twitter.com/6nGrUwZNXC
— UEFA Nations League (@EURO2024) June 1, 2022
এমিলিয়ানো মার্তিনেস: ইংল্যান্ডে খেলা হাতে গোনা ফুটবলারদের একজন। তিনি এখন অ্যাস্টন ভিলার গোলকিপার। বুধবার রাতে ইটালির বেশ কিছু আক্রমণ বাঁচিয়ে দিয়েছেন। ফুটবল জীবনের শুরু আর্জেন্টিনার ক্লাব থেকেই। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই কাটিয়েছেন ইংল্যান্ডের নীচের সারির ক্লাবে।
নিকোলাস ট্যাগলিয়াফিকো: শুরু থেকে বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন আর্জেন্টিনার ক্লাবস্তরে। ২০১৮ থেকে তিনি খেলেন আয়াক্স আমস্টারডামে। দেশের হয়ে এখনও ৪০টি ম্যাচে খেলেছেন। যুবস্তর থেকে দেশের হয়ে খেলছেন তিনি।
ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো: আর্জেন্টিনার ক্লাব থেকে শুরু হলেও জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন ইটালির বিভিন্ন ক্লাবে। জেনোয়া, আটালান্টায় খেলেছেন। জুভেন্টাসে গেলেও একটি ম্যাচও খেলেননি। এখন খেলেন ইংল্যান্ডের ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারে। তবে নিয়মিত সুযোগ পান না।
নাহুয়েল মোলিনা: জাতীয় দলের রাইট ব্যাক। ইনিও আর্জেন্টিনার বিভিন্ন ক্লাবে প্রাথমিক পর্বে খেলেছেন। এখন ইটালির উডিনেসে ক্লাবে খেলেন। বোকা জুনিয়র্সের যুব দল থেকে উঠে এসেছেন তিনি।
গুইদো রদ্রিগেস: স্পেনের ক্লাব রিয়াস বেটিসে খেললেও নিয়মিত সুযোগ পান না। রিভারপ্লেট থেকে ফুটবলজীবন শুরু তাঁর। সেখান থেকে তিজুয়ানা, ক্লাব আমেরিকা হয়ে বেটিসে।
রদ্রিগো দি পল: আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে খেলেন বটে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁকে প্রায় নামানই না কোচ দিয়েগো সিমিয়োনে। ২০২১-এ স্পেনের ক্লাবে যোগ দিয়ে খেলেছেন মাত্র ৩৬টি ম্যাচ। কিন্তু আর্জেন্টিনার হয়ে মাঝমাঠ একার হাতেই নিয়ন্ত্রণ করেন। কোপা আমেরিকা ফাইনালে অসাধারণ খেলেছিলেন।
জিয়োভান্নি লো সেলসো: আর্জেন্টিনার ক্লাব স্তরে খেলে স্পেনে এসেছিলেন। মাঝে কিছু দিন ইংল্যান্ডের টটেনহ্যামে কাটানোর পর লোনে আবার তিনি স্পেনে। খেলেন ভিয়ারিয়ালে। যথারীতি সব ম্যাচে সুযোগ পান না।
লাউতারো মার্তিনেস: আর্জেন্টিনার ক্লাব থেকে ইটালির ইন্টার মিলানে যোগ দেন। দীর্ঘ দিন ধরেই সেখানে খেলছেন। জাতীয় দলে তাঁকে না নেওয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। অবশেষে দলে জায়গা পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করছেন তিনি।
জুয়ান ফয়েথ: টটেনহ্যাম ঘুরে এখন ভিয়ারিয়ালে খেললেও, কোনও ক্লাবেই নিয়মিত সুযোগ পাননি। জাতীয় দলে বরং অনেক বেশি ধারাবাহিক।
এজেকিয়েল পালাসিয়োস: আর্জেন্টিনায় ফুটবলজীবন শুরু করার পর এখন বেয়ার লেভারকুসেনে খেলেন। কিন্তু নিয়মিত সুযোগ না পাওয়াদের দলে রয়েছেন তিনিও।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy