তাঁর সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের কথা প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। সমর্থকেরাও আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিলেন যে ভারতীয় ফুটবলে অন্যতম সফল কোচ তাঁদের দলের হাল ধরবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জানা যায়, সের্খিয়ো লোবেরা কোচ হচ্ছেন না। পরে আর এক আইএসএল জয়ী কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে দায়িত্ব দেয় লাল-হলুদ। কথা প্রায় পাকা হয়ে যাওয়ার পরেও কেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ হলেন না লোবেরা, তার কারণ জানালেন তিনি।
বুধবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে ওড়িশা এফসির কোচ লোবেরার সামনে এই প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমি অতীত নিয়ে কথা বলতে চাই না। জানি না শেষে মুহূর্তে আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল, না কি আগে থেকেই পুরোটা ঠিক ছিল। তবে এখন আমি অন্য একটা ক্লাবে আছি। আমার দল নিয়ে খুব খুশি। আমি জানি ইস্টবেঙ্গল বড় দল। ওদের অনেক সমর্থক। তবে এখন এ সব ভেবে লাভ নেই।’’
আরও পড়ুন:
চলতি বছর এপ্রিল মাসে সুপার কাপের পরে স্টিফেন কনস্টানটাইনের জায়গায় ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসাবে লোবেরার নাম শোনা যায়। অতীতে এফসি গোয়া এবং মুম্বই সিটি এফসি-র কোচ ছিলেন তিনি। আইএসএলের সফলতম কোচ তিনিই। ট্রফির বিচারে তাঁর ধারেকাছে আর কেউ নেই। ২০১৭ সালে গোয়ার কোচ হিসাবে আইএসএলে যোগ দিয়েছিলেন লোবেরা। তিন বছর গোয়াকে কোচিং করিয়েছেন। পরের বছর সুপার কাপ জেতান গোয়াকে। সাফল্য সেখানেই শেষ হয়নি। ২০১৯-২০ সালে প্রথম বার আইএসএলে চালু হয় লিগ-শিল্ড। প্রথম বছরই গোয়াকে সেই খেতাব জেতান তিনি। তবে আইএসএলের ট্রফি পাননি।
আরও পড়ুন:
গোয়ার কর্তাদের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় তিনি পরের বছর, অর্থাৎ ২০২০-তে যোগ দেন মুম্বই সিটিতে। সেই ক্লাবেও সাফল্যের ধারা বজায় রাখেন। শক্তিশালী দল গড়ে মুম্বইকে লিগ-শিল্ড এবং প্রিমিয়ারশিপ, দু’টি ট্রফিই জেতান। আইএসএলে এই নজির আর কারও নেই। সাফল্য সত্ত্বেও ভারতে থাকেননি তিনি। ২০২২-এ তিনি যোগ দেন চিনের ক্লাব সিচুয়ান জিউনিউতে। নতুন কোচ নিয়োগ করার ব্যাপারে লোবেরাই প্রথম পছন্দ ছিল ইস্টবেঙ্গলের। কথাও প্রায় পাকা হয়েছিল। যদিও তার পরে বদলে যায় ছবি। এত দিনে সেই বিষয়ে মুখ খুললেন লোবেরা।