বিশ্বকাপের পাঁচ মাস আগে দল থেকে সরে দাঁড়ালেন অধিনায়কই। প্রতীকী ছবি।
বিশ্বকাপের আগে সরে দাঁড়ালেন অধিনায়কই। জানিয়ে দিলেন, নেতৃত্ব দেওয়ার তো প্রশ্নই নেই। বিশ্বকাপও খেলবেন না। বিশ্বকাপে, প্রস্তুতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফ্রান্সের মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক ওয়েন্ডি রেনার্ড।
আগামী ২০ জুলাই থেকে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জ়িল্যান্ডে শুরু হবে মহিলাদের ফুটবল বিশ্বকাপ। ৩২ দলের প্রতিযোগিতায় ট্রফি জয়ের অন্যতম দাবিদার ফ্রান্স। অথচ প্রতিযোগিতা শুরুর পাঁচ মাস আগে না খেলার সিদ্ধান্ত নিলেন রেনার্ড। তিনি শুধু জাতীয় দলের অধিনায়ক নন। ফ্রান্সের সর্বকালের অন্যতম সেরা মহিলা ফুটবলার মনে করা হয় তাঁকে। শুক্রবার রেনার্ড জানিয়েছেন, ‘‘মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়েছে আমাকে।’’
ফ্রান্সের হয়ে এখনও পর্যন্ত ১৪২টি ম্যাচে ৩৪টি গোল করেছেন রেনার্ড। ক্লাব ফুটবলে ১৫টি লিগ খেতাব রয়েছে তাঁর। আট বার জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি। রেনার্ডের না থাকা ফ্রান্সের মহিলা ফুটবল দলের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী দিনে ফ্রান্সের হয়ে আর খেলবেন কিনা জানাননি রেনার্ড। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর প্রসঙ্গেও মুখ খোলেননি। শুধু জানিয়েছেন আপাতত নিজেকে জাতীয় দল থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন।
রেনার্ড বলেছেন, ‘‘যে কোনও কিছুর থেকে আমি ফ্রান্সকে বেশি ভালবাসি। আমি নিখুঁত নই। অনেক দোষ রয়েছে। তবু এখন যে ব্যবস্থা চলছে, সেটা মানতে পারছি না। সর্বোচ্চ পর্যায় খেলার জন্য যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন তার প্রায় কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। আমার সিদ্ধান্তটা দুঃখজনক। তবু নিজের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে এ ছাড়া উপায় ছিল না। ভীষণ কষ্ট হলেও নিজেকে ফ্রান্স দল থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি। এই পরিস্থিতিতে আমার পক্ষে আসন্ন বিশ্বকাপ খেলা সম্ভব নয়।’’ রেনার্ডের মতে এ ভাবে বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব নয়।
কোচ কোরিন দিয়াসের সঙ্গে কিছু দিন ধরে মতবিরোধ চলছে রেনার্ডের। কোচের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত পছন্দ হচ্ছিল না তাঁর। ২০১৭ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর রেনার্ডকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন দিয়াস। ২০২১ সালে আবার তাঁকে অধিনায়ক করেন। রেনার্ড অবশ্য জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলি হলে তিনি আবার জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy