অনুশীলনে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা। ছবি: এক্স।
গত বছর আইএসএলের প্রথম ডার্বি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। সেই ডার্বি অবশেষে হতে চলেছে দ্বিতীয় পর্বে। অক্টোবরের ম্যাচ বদলে গিয়ে দেওয়া হয়েছে ফেব্রুয়ারি। আগামী শনিবার আবার মোহনবাগানের মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপের পর আবার। চলতি মরসুমে ডুরান্ড এবং সুপার কাপে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আধিপত্য দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু চিরশত্রুর বিরুদ্ধে এখনও আইএসএলে জিততে পারেননি। সেই ম্যাচে জিততে ইস্টবেঙ্গলকে কাদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে? জানাচ্ছেন আনন্দবাজার অনলাইন।
১) ক্লেটন সিলভা: কলকাতা ডার্বিতে ক্লেটন কী করতে পারেন, সেটা সুপার কাপেই বুঝতে পেরেছে মোহনবাগান। নিজে দু’টি গোল করা এবং গোটা ম্যাচে দাপট দেখানো ক্লেটনকে নিয়ে মোহনবাগান যে বাড়তি সাবধানতা নেবে, তা বলাই বাহুল্য। সুপার কাপে শুধু সর্বোচ্চ গোলদাতাই হননি, নিজের জাত চিনিয়েছেন ক্লেটন। ফাইনালে তাঁর গোলেই জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। তিনি নিঃসন্দেহে ইস্টবেঙ্গলের সেরা বিদেশি। মরসুম শুরুর পর থেকে কিছু দিন অফ ফর্মে ছিলেন। ফর্মে ফিরতেই ক্লেটন প্রতিটি ম্যাচে বিধ্বংসী হয়ে উঠেছেন। সুপার কাপ ছাড়া আইএসএলেও একের পর এক ম্যাচে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা লক্ষ করা গিয়েছে।
২) নাওরেম মহেশ: জাতীয় দলের হয়ে খেলার কারণে সুপার কাপের ডার্বিতে তিনি ছিলেন না। কিন্তু মহেশকে সুস্থ এবং ফিট থাকলে তাঁকে কোনও কোচই বসিয়ে রাখার সাহস পাবেন না। এশিয়ান কাপে ভারত যে ক’টি গোলের সুযোগ পেয়েছিল তাঁর মধ্যে একাধিক সুযোগ তৈরি করেন মহেশ। নিজেও একটি গোল করতে পারতেন। সুপার কাপের ফাইনালে তাঁকে বিরতিতে নামার কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। পাঁচ মিনিটের মধ্যে তাঁর পাস থেকে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন নন্দকুমার। মণিপুরি এই ফুটবলার নিজে গোল করার থেকেও পাস দিতে ভালবাসেন। একটি সঠিক পাস পেলেই ক্লেটন সিলভা বা জেভিয়ার সিভেরিয়োরা গোল করে দিতে পারেন। নিজেও গোল করতে পারেন মহেশ। বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে বিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়তে জুড়ি নেই। ফলে মোহনবাগানকে সতর্ক থাকতে হবে এই ফুটবলারটিকে নিয়েও।
৩) নন্দ কুমার: তামিলনাড়ুর এই ফুটবলারের নামই হয়ে গিয়েছে ‘ডার্বি বয়’। কেউ কেউ আবার ‘বিগ ম্যাচ প্লেয়ার’ও বলে দিচ্ছেন অক্লেশে। আসলে বড় ম্যাচে গোল করা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন নন্দকুমার। ডুরান্ডের পর সুপার কাপেও মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল করেছেন। সামনে আরও একটা ডার্বি। কলকাতার ফুটবল এবং ইস্টবেঙ্গলের প্রেমে পড়ে যাওয়া নন্দকুমার একই রকম মরিয়া। নয় ম্যাচ পর গত বছরের ডুরান্ড কাপে তাঁর গোলেই জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। রাতারাতি লাল-হলুদ জনতার নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই ভালবাসা আরও বেড়েছে সুপার কাপের পরে। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত তাঁকে নিয়মিত ডান দিকে খেলাচ্ছেন। আসন্ন কলকাতা ডার্বিতে নন্দকুমার যদি আবার ডান দিক থেকে ক্রমাগত আক্রমণ শানাতে পারেন এবং দু’-একটি অ্যাসিস্ট করতে পারেন, তা হলে সুবিধা ইস্টবেঙ্গলেরই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy