ডুরান্ড জিতলেন সুনীলরা। ফাইল ছবি
অধরা স্বপ্ন পূরণ হল সুনীল ছেত্রীর। এত দিন পর্যন্ত তাঁর ট্রফি ক্যাবিনেটে শুধু ডুরান্ড কাপটাই ছিল না। রবিবারের কলকাতা সেই স্বপ্নও পূরণ করে দিল বাংলার জামাইয়ের। যুবভারতী স্টেডিয়ামে ডুরান্ড কাপ ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসি ২-১ ব্যবধানে হারাল মুম্বই সিটি এফসি-কে। বেঙ্গালুরুর হয়ে গোল করেন শিবশক্তি এবং অ্যালান কোস্তা। মুম্বইয়ের একমাত্র গোলদাতা আপুইয়া।
প্রতিযোগিতায় পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে খেলতে আসা দুই দলই ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথম মিনিটেই ফ্রিকিক পায় মুম্বই। তবে কাজে লাগাতে পারেনি তারা। তবে খেলার বিপরীতে ১০ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। রক্ষণ থেকে বল ভাসিয়েছিলেন জোভানোভিচ। মুর্তাদা ফলকে টপকে গোল করেন শিবশক্তি। প্রতিযোগিতায় পঞ্চম গোল হয়ে গেল তাঁর। ডুরান্ড কাপের আবিষ্কার বলা যেতেই পারে তামিলনাড়ুর এই ফুটবলারকে।
১৭ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল মুম্বই। লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে তা কাজে লাগাতে পারেননি। তবে ম্যাচের আধ ঘণ্টার মাথায় সমতা ফেরায় মুম্বই। সন্দেশ জিঙ্ঘনের ফাউলের কারণে বেঙ্গালুরু বক্সের সামনেই ফ্রিকিক পায় তারা। আহমেদ জাহু পাস দেন গ্রেগ স্টুয়ার্টকে। তাঁর শট গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু বাঁচিয়ে দিলেও ফিরতি বলে গোল করেন আপুইয়া। ৩৮ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত বেঙ্গালুরু। রোশন সিংহের কর্নার থেকে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা। তবে গোললাইন থেকে ছাংতে অনবদ্য সেভ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। সুনীলের কর্নার থেকে বাকিদের টপকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন কোস্তা। ম্যাচের শেষ দিকে সমতা ফেরানোর মরিয়া লক্ষ্যে বেশ কিছু বদল করেন মুম্বই কোচ। তা কাজে দেয়নি।
ঘরোয়া ফুটবলে আই লিগ, আইএসএল, ফেডারেশন কাপ, সুপার কাপ জিতেছে বেঙ্গালুরু। এএফসি কাপেও রানার্স-আপ হয়েছে তারা। এ বার ডুরান্ড কাপও ঢুকে গেল তাদের ঘরে। সুনীলের স্বপ্ন পূরণ হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy