Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Surajit Sengupta

বাংলার পাঁচ প্রাক্তন ফুটবলারের হাতে তুলে দেওয়া হল সুরজিৎ সেনগুপ্ত স্মারক

সুরজিৎ সেনগুপ্তের নামাঙ্কিত স্মারক পেলেন বাংলার পাঁচ দিকপাল ফুটবলার। ১৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিজয়গড় নিরঞ্জন সদন হলে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যম প্রাক্তন ফুটবলারদের হাতে এই স্মারক তুলে দেওয়া হল।

স্মারকপ্রদান অনুষ্ঠানে বাংলার পাঁচ প্রাক্তন ফুটবলার।

স্মারকপ্রদান অনুষ্ঠানে বাংলার পাঁচ প্রাক্তন ফুটবলার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:১১
Share: Save:

রবিবার যাদবপুরের প্রাক্তন ফুটবলারদের সংস্থা ‘জেফা’-র পরিচালনায় সুরজিৎ সেনগুপ্ত স্মারক তুলে দেওয়া হল পাঁচ প্রাক্তন ফুটবলারের হাতে। প্রাক্তন ফুটবলার শ্যাম থাপা, প্রদীপ চৌধুরি, তরুণ বসু, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় এবং মিহির বসু এই স্মারক। বিজয়গড়ের নিরঞ্জন সদন হলে প্রাক্তন ফুটবলারদের হাতে এই স্মারক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রাক্তন সতীর্থ সুরজিতের স্মৃতিচারণ করেন শ্যাম, ভাস্কররা।

দীর্ঘ দিন হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে থাকার পর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন তিন প্রধানে খেলা প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ২৪ জানুয়ারি থেকে ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা কম ছিল। শ্বাসকষ্ট ছিল, সঙ্গে প্রচণ্ড কাশি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও, মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। তবে মৃত্যুর আগের দিন রাতে আচমকা অবনতি শুরু হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। কথাবার্তা অসংলগ্ন হয়ে পড়ে। অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছিল কৃত্রিম পদ্ধতিতে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।

১৯৫১ সালের ৩০ অগস্ট সুরজিতের জন্ম। খিদিরপুর ক্লাবে ফুটবল জীবন শুরু করার পর কলকাতার তিন বড় ক্লাবেই খেলেছেন। হুগলির মানুষ সুরজিতের প্রথম বড় ক্লাব মোহনবাগান। ১৯৭২ সাল থেকে দু’বছর মোহনবাগানে ছিলেন। ১৯৭৪ সালে ইস্টবেঙ্গলে। সেই থেকে টানা ছ’বছর লাল-হলুদে খেলেন। ১৯৮০ সালে সই করেন মহমেডানে। পরের বছর ফের মোহনবাগানে। খেলেন তিন বছর। ১৯৭৮ সালে তিনি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ছিলেন। দেশের হয়ে খেলেছেন ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত। ১৯৭৬ সালে সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার অধিনায়ক হন।

অন্য বিষয়গুলি:

Surajit Sengupta Shyam Thapa Bhaskar Ganguly
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE