অলিম্পিক্সে সোনা জিতে উল্লাস স্পেনের। ছবি: রয়টার্স।
ইউরো কাপ জেতার পর অলিম্পিক্সেও সোনা জিতল স্পেন। শুক্রবার প্যারিসের পার্ক দ্য প্রাঁস স্টেডিয়ামে তারা ৫-৩ গোলে হারিয়ে দিল আয়োজক দেশ ফ্রান্সকে। টান টান ম্যাচ উপহার দিল দুই দল। বিরতিতে ৩-১ এগিয়ে থাকা স্পেন দ্বিতীয়ার্ধে দু'গোল খেয়ে যায়। অতিরিক্ত সময়ে আরও দু'টি গোল করে সোনা জয় নিশ্চিত করে।
শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ স্পেনের পায়ে থাকলেও গোলমুখী আক্রমণ করতে পারছিল না তারা। ফ্রান্সের রক্ষণ ভাগের কাছে গিয়ে আক্রমণ আটকে যাচ্ছিল। খেলার বিপরীতে এগিয়ে যায় ফ্রান্সই। ফ্রান্সের ফরোয়ার্ড মিলোট গোল লক্ষ্য করে শট নিলেও তাতে জোর ছিল না। সেটাই ধরতে গিয়ে স্পেনের গোলকিপার টেনেস নিজের জালে বল জড়িয়ে দেন।
ছয় মিনিট পরেই সমতা ফেরায় স্পেন। প্রথম আক্রমণেই গোল করে তারা। ডান দিকে ফাঁকা জায়গা পেয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন সের্জিয়ো গোমেজ়। বক্সে ভাসানো বলে গোল করেন ফারমিন লোপেজ়। ২৬ মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। এ বারও গোল করেন ফারমিন। বাঁ দিক থেকে ফ্রান্সের বক্সে বল ভাসিয়েছিলেন গঞ্জালেস। আবেল রুইজ়ের শট আটকে দেন ফ্রান্সের গোলকিপার। ফিরতি বলে গোল করেন ফারমিন।
২৯ মিনিটে তৃতীয় গোল করে স্পেন। ফ্রান্সের বক্সের কাছে ফ্রিকিক পেয়েছিল তারা। অ্যালেক্স বায়েনার নিখুঁত ফ্রিকিক ফ্রান্সের গোলকিপারকে এক ইঞ্চি নড়ার সুযোগ না দিয়ে গোলে ঢুকে যায়। হঠাৎই ম্যাচের পট পরিবর্তনে স্টেডিয়ামের দর্শকেরাও হতভম্ব হয়ে যান। বেশির ভাগই ছিলেন ফ্রান্সের সমর্থক। ফলে গোটা স্টেডিয়ামই কার্যত চুপ করে যায়। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে দাপট ছিল স্পেনেরই।
দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্স গোল শোধ করার জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠে। স্পেনের বক্সে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। ফ্রান্সের বাদের শট বারে লাগে। ফ্রান্সের অনবরত আক্রমণ দেখে স্পেনও রক্ষণের খোলসে ঢুকে পড়তে থাকে। প্রথমার্ধে তাদের খেলায় যে আগ্রাসী ভাব লক্ষ করা গিয়েছিল তা আচমকাই উধাও হয়ে যায়। সেই সুযোগ কাজে লাগায় ফ্রান্স। শেষের দিকে এ ভাবে যে তারা খেলায় ফিরে আসবে তো কেউই ভাবতে পারেননি।
৮০ মিনিটে একটি গোল শোধ করে ফ্রান্স। স্পেনের বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রিকিক পেয়েছিল তারা। অলিস বক্সে বল ভাসান। সেখান থেকে আকলিচে গোল করেন। সংযুক্তি সময়ে সমতা ফেরায় ফ্রান্স। কালিমুয়েন্দোকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন মিরান্দা। রেফারি ভার-এর সঙ্গে পরামর্শের পর পেনাল্টি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন মাতেতা। এর পর স্পেনের তুরিয়েন্টেসের শট পোস্টে লাগে। ফ্রান্সের অলিসে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি।
স্পেন যে অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেবে সেটাও অনেকে কল্পনা করতে পারেননি। অতিরিক্ত সময়ে আবার এগিয়ে যায় স্পেন। বিপক্ষের বক্সের বাইরে বল পেয়েছিলেন সের্জিও পেরেজ। তিনি মার্কারকে টপকে গোল করেন। অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে পঞ্চম গোল করে স্পেন। স্পেনের গোলকিপার বল ধরে ফ্রান্সের অর্ধে থাকা পেরেজের উদ্দেশ্যে ছুড়ে দেন। পেরেজ সেই বল ধরে ঠান্ডা মাথায় গোল করে স্পেনের সোনা জয় নিশ্চিত করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy