পেত্রাতোসের সঙ্গে উল্লাস সাহালের। ছবি: এক্স।
জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন। সেই চোট সারতে লেগে গেল প্রায় তিনটে মাস। প্রতিটা মুহূর্তে দিন গুনছিলেন, কবে মাঠে ফিরবেন। রবিবার অবশেষে এসেছিল কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। মাঠে তো নামলেনই, গোল করে মোহনবাগানকে আইএসএলের ফাইনালে তুলে দিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। ম্যাচের পর জানালেন, এই মুহূর্তটার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। গোল করে তৃপ্ত তিনি।
সম্প্রচারকারী চ্যানেলে সাহাল বলেন, “মাঠে নেমে যে ভাবেই হোক দলকে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। কোচ বলেছিলেন, বুদ্ধি দিয়ে খেলো। মাঠে খোলা মনে থাকো। কোনও রকম চাপ মাথার মধ্যে নেবে না। আমি সেটাই করেছি। এত দিন ধরে এই মুহূর্তটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে আমাকে। চোট-আঘাত ফুটবলেরই অংশ। আমি ধৈর্য রেখেছিলাম। কঠোর পরিশ্রম করেছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমরা ফাইনালে উঠেছি।”
মাঠে ফিরতে দেরি হওয়ায় অনেকে সাহালের ভবিষ্যত নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, চলতি মরসুমে হয়তো আর ফেরা হবে না কেরলের ফুটবলারের। সাহাল ফিরলেনই না, গোল করে দলকে আরও একটা ট্রফির সামনে দাঁড় করিয়ে দিলেন। সেই প্রসঙ্গে সাহালের উত্তর, “আমি সবার কাছে প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম যে এখানেই আছি। শেষ হয়ে যাইনি। ভবিষ্যতে আরও পরিশ্রম করতে রাজি। এটাই একমাত্র পথ।”
কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে নামিয়েছিলেন। কোনও নির্দেশ ছিল? সাহাল বলেন, “মাঠে আসার পর একটাই লক্ষ্য ছিল, বক্সের মধ্যে যতটা সম্ভব থেকে সুযোগের অপেক্ষা করা। মনবীর অসাধারণ খেলেছে। আমার নয়, ওটা ওর গোল। আমরা একটা দল হিসাবে খেলি। এটা দলেরই গোল।”
শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না। সাহাল বলেন, “আমার স্ত্রী এখানে রয়েছে। ও সব সময় আমার সঙ্গে ছিল। আমায় যত্নে রেখছিল। ফিজিয়ো, সাপোর্ট স্টাফেরাও প্রচুর সাহায্য করেছে।”
ম্যাচের পর তৃপ্ত শোনাল হাবাসের গলাও। তিনি বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব গোল করার লক্ষ্য নিয়েই আমরা নেমেছিলাম। কিন্তু ম্যাচটা অনেক লম্বা হবে, এই আশঙ্কাও ছিল। শারীরিক ভাবে আমরা অনেক ভাল জায়গায় ছিলাম। সেটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy