মুগ্ধ: পেলের দেশে জন্মেছেন ভেবে গর্বিত নেমার। ছবি টুইটার।
নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়রের কাছে পেলে শব্দের অর্থ শুধুই ফুটবল। তিনি গর্বিত, ফুটবল সম্রাট তাঁর দেশেই জন্মেছেন বলে। নেমারের আদর্শ ও প্রেরণা অবশ্য মাইকেল জর্ডান। কিংবদন্তি বাস্কেটবলারের সঙ্গে তিনি নিজের অনেক সাদৃশ্য খুঁজে পান।
শুধু বিশ্বসেরাদের একজনকে নয়, লিয়োনেল মেসির সঙ্গে আবার খেলতে পারাও তাঁর কাছে প্রিয় বন্ধুকে ফিরে পাওয়াও। নেমারের বিশ্বাস, আর্জেন্টিনীয় মহাতারকার সঙ্গে জুটিতে তিনি প্যারিস সাঁ জারমাঁতেও ইতিহাস রচনা করবেন। বার্সেলোনাতে যেমন করেছেন।
বিখ্যাত এক বাণিজ্যিক সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার কার্যত নিজেকে উন্মোচিত করেছেন! যেখানে নেমারের কথায় অন্যরকম উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে পেলে প্রসঙ্গে, ‘‘ছোট থেকে একটা জিনিসই দেখতাম। গলির ফুটবলেও কেউ তিনজনকে ড্রিবলের পর গোল করলে তার সঙ্গে পেলের তুলনা করা হচ্ছে। বা স্কুলে কেউ নিজেকে বিরাট ভাবলে তাকে বলা হচ্ছে, ‘তুমি কি নিজেকে পেলে ভাবছো?’ ছোট থেকেই এই ধরনের কথা শুনছি। আমার চোখে তাই পেলেই ফুটবলে রাজা। ব্রাজিল দেশটা বিখ্যাত হয়েছে ওঁর জন্যই।’’ নেমারের সামনে ব্রাজিলের জার্সিতে ৭৭ গোল করে পেলের নজির ভাঙার সুযোগ রয়েছে। যা নিয়ে পিএসজি তারকার মন্তব্য, ‘‘রেকর্ডটা ভাঙতে চাই। তবে সেটা পারলে কখনও বলব না, আমি পেলের থেকে বড় বা ওঁর সমকক্ষ। আসলে ৭৭ গোল করলে সেটা আমার তরফে ফুটবলের সম্রাটকেই শ্রদ্ধা জানানো হবে।’’
উঠেছে প্যারিস সাঁ জারমাঁয় তাঁর খেলার প্রসঙ্গও। কোন দু’জনের পাশে খেলা উপভোগ করেন জানতে চাওয়ায় নেমার বেছে নিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে ও মার্কো ভেরাত্তিকে। এমবাপের গতি তাঁর কথায়, ‘অবিশ্বাস্য’। আর জ়াভি-ইনিয়েস্তাদের পরে ভেরাত্তিই তাঁর দেখা সেরা মিডফিল্ডার। যাঁর প্রতিভার উচ্চতা তিনি বুঝেছেন প্যারিসের ক্লাবে খেলার সূত্রে।
কয়েক সপ্তাহ আগে সকলকে অবাক করে দিয়ে নেমার জানিয়েছিলেন, ২০২২ কাতার বিশ্বকাপই তাঁর জীবনের শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে। সত্যিই কি তাঁকে ব্রাজিলের জার্সিতে আর দেখা যাবে না? ব্রাজিলীয় তারকার দাবি, তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে, ‘‘কেউ জানেন না, সামনের দিনগুলোয় কী ঘটতে চলেছে। তাই ধরে নিচ্ছি, বিশ্বকাপে খেলার শেষ সুযোগ কাতারেই পাব। তার অর্থ এই নয়, সেটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। লোকেএটার ভুল ব্যাখ্যা করেছেন।’’
নেমার উচ্ছ্বসিত মেসিকে নতুন করে ফিরে পেয়েও, ‘‘ওকে আবার পাশে পেয়ে কী যে খুশি হয়েছি, বলে বোঝাতে পারব না। ও কি শুধুই বিশ্বসেরা? লিয়ো আমার প্রিয় বন্ধুও। যাকে পাশে পেলে জীবনের চাপ কমে যায়। মাথাও ঠান্ডা থাকে। বার্সার মতো পিএসজিতেও ওকে নিয়ে ইতিহাস গড়তে চাই।’’ ইতিহাস গড়া মানে কী প্যারিসের ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো? ‘‘সেটা যে দিন পারব, বুঝব অবিশ্বাস্য কিছু করেছি। প্যারিসে তো খেলতেই এসেছিলাম এই স্বপ্নটা সত্যি করতে। এতদিনে দল আরও শক্তিশালী হয়েছে। তা হলে স্পেনে যেটা পেরেছি, এখানে তা পারব না কেন,’’ বলেছেন নেমার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy