মোহনবাগানের কোচ হোসে মোলিনা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
কোচ হিসেবে প্রথম বার মোহনবাগানের হয়ে ডার্বিতে নেমেছিলেন। তাঁর দল সহজেই জিতেছে। পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। সব মিলিয়ে, আবার আইএসএলের দৌড়ে ফিরেছে মোহনবাগান। তবে এখনই আবেগে ভেসে যেতে চান না হোসে মোলিনা। ডার্বি জিতেও নিরুত্তাপ মোহনবাগানের কোচ। পূর্বসূরীদের মতোই পরের ম্যাচের দিকে নজর ঘুরি নিয়েছেন তিনি।
মোলিনা যে বেশ চাপমুক্ত সেটা ম্যাচের পরেই বোঝা যাচ্ছিল। হাসিখুশি মুখেই সাংবাদিক বৈঠকে এলেন। কথা বলার পাশাপাশি মজাও করলেন। ডার্বি থেকে নিজের প্রাপ্তি নিয়ে মোলিনা বলেন, “জানি না এখন আমিই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ কি না। আমি স্রেফ একজন কোচ। কোনও জাদুকর নই। সমর্থকদের জন্য এই জয়ে খুশি। তবে আমার কাছে তিন পয়েন্টের বেশি কিছু নয়। এখনও আমাদের পা মাটিতে রাখতে হবে, শান্ত থাকতে হবে এবং পরের ম্যাচের জন্য তৈরি হতে হবে। অনেক কাজ এখনও বাকি আছে।”
আইএসএল গত দু’ম্যাচে মোহনবাগান গোল খায়নি। দু’টি ম্যাচই ছিল ডার্বি। রক্ষণ নিয়ে তাই কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট মলিনা। তবে এটাও জানিয়ে রাখলেন, এখনও খুব কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি দলকে। মোহনবাগানের কোচ বলেছেন, “আমি শুধু রক্ষণ নিয়ে ভাবতে চাই না। গোটা দলকে নিয়ে ভাবতে চাই। আমার কাছে ১১ জনই ডিফেন্ডার। ১১ জনই ফরোয়ার্ড। আজ গোল করার জন্য, জেমি (ম্যাকলারেন) যে ভাবে নীচে নেমে এসে দলকে সাহায্য করেছে সেটা আমার বেশি ভাল লেগেছে।”
মোলিনা বরাবরই রিজ়ার্ভ বেঞ্চকে গুরুত্ব দেন। বার বার বলেন রিজ়ার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়েরাই ম্যাচ জেতান। শনিবার পরিবর্ত হিসাবে নেমে গোল করে দিমিত্রি পেত্রাতোস মোলিনার কথাই সত্যি বলে প্রমাণ করেন। পরের ম্যাচ হায়দরাদের বিরুদ্ধে। যারা ইস্টবেঙ্গলের ঠিক উপরে। দলে কি বদলের ভাবনা রয়েছে? মোলিনার জবাব, “এখনই বলা সম্ভব নয়। আমার হাতে দশ দিন রয়েছে। যারা ডাগআউটে রয়েছে তারাও যথেষ্ট পরিশ্রম করছে। একসঙ্গে সবাইকে তো খেলাতে পারব না। তবে ওদের আরও বেশি সুযোগ দেওয়ার ভাবনা রয়েছে।”
হারলেও ইস্টবেঙ্গলের প্রশংসা করে গেলেন মোলিনা। বলেছেন, “ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতাম না। ম্যাচের পর ওকে শুভেচ্ছা জানালাম। নতুন এসেছে। আমি চাই ওর হাত ধরে ইস্টবেঙ্গল ঘুরে দাঁড়াক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy