আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস। —ফাইল চিত্র।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (আইএসএল) ছুটছে পালতোলা নৌকা। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে দলের বড় ব্যবধানে জয়ে খুশি মোহনবাগান কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস। দলের উন্নতিতে খুশি সবুজ-মেরুন কোচ।
জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের পর ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ওয়েবসাইটকে হাবাস বলেছেন, ‘‘আমাদের দল অনেক উন্নতি করেছে। দলের খেলায় আমি খুশি। যে ভুলগুলো হচ্ছিল, সে সব শুধরে নিয়েছে ছেলেরা। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে আমরা অন্য ছকে, অন্য পরিকল্পনা নিয়ে খেলেছি। সব ম্যাচে এক ভাবে খেলা সম্ভব নয়। তা হলে প্রতিপক্ষের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জামশেদপুরও বেশ ভাল খেলেছে। অনেক সুযোগ তৈরি করেছে ওরা। আমরা ৭৫ মিনিট ভাল খেলেছি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে অবশ্য আমাদের কিছু ভুল হয়েছে। ম্যাচের ফল থেকেই পরিষ্কার কতটা দাপট ছিল আমাদের।’’
১৬ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএলের পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে মোহনবাগান। চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে থাকার জন্য ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মোহনবাগানের কাছে। হাতে সময় থাকায় এখনই ডার্বি নিয়ে ভাবতে চাইছেন না হাবাস। তিনি বলেছেন, ‘‘জামশেদপুরের বিরুদ্ধে জয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবার সময় পাইনি। ডার্বি সব সময় অন্য ম্যাচ, অন্য প্রতিপক্ষ। আমরা এখন এই জয়টা উপভোগ করতে চাই। পরের ম্যাচ নিয়ে পরের সপ্তাহে ভাবব।”
আত্মবিশ্বাসী মোহনবাগান কোচের মুখে শোনা গিয়েছে দলের ফুটবলারদের প্রশংসা। জনি কাউকো, মনবীর সিংহদের নিয়ে সন্তুষ্ট তিনি। হাবাস বলেছেন, ‘‘কাউকো যথেষ্ট ভাল এবং পেশাদার ফুটবলার। ওকে আমাদের দরকার। আমার দলে একজন নেতা নয়, কুড়িজন নেতা চাই আমি। কারণ, দলে এক জন নেতা থাকলে সমস্যা হয়। কোনও কারণে সে খেলতে না পারলে গোটা দল দিশেহারা হয়ে পড়তে পারে। একাধিক নেতা থাকলে সেই সমস্যা হবে না।’’ মনবীরকে নিয়ে হাবাস বলেন, ‘‘মনবীর অবশ্যই ভাল খেলেছে। দলের বাকিরাও যথেষ্ট ভাল খেলেছে। মনবীর যে ভারতের অন্যতম সেরা ফুটবলার হয়ে উঠতে পারে, অনেক আগেই এ কথা বলেছিলাম। এখন সেটাই প্রমাণ করছে ও। বিভিন্ন পজিশনে খেলতে পারে। তবে আমাদের দলে দুটো উইং দিয়ে সবচেয়ে ভাল খেলে মনবীরই। ফিটনেস ও দক্ষতার দিক থেকে যথেষ্ট ভাল জায়গায় রয়েছে।’’
টানা ম্যাচের ক্লান্তি কাটাতে ফুটবলারদের কয়েক দিন হালকা রাখতে চান হাবাস। এখনই ডার্বির ভাবনা ফুটবলারদের মধ্যে ঢোকাতে চাইছেন না তিনি। হাতে সময় থাকায় নিজেও ধীরে সুস্থে পরিকল্পনা করতে চান ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy