কলকাতা ডার্বির টিকিট। ছবি: সমাজমাধ্যম।
শনিবার কলকাতা ডার্বি। চলতি আইএসএলের প্রথম কলকাতা ডার্বির আয়োজক ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের আগে টিকিট কিনতে গিয়ে ছ্যাঁকা খেয়েছেন দুই প্রধানের সমর্থকেরাই। সবচেয়ে কম টিকিটের দামও ৩০০ টাকা। সমর্থকদের দাবি, টিকিটের এত দাম আগে কখনও রাখা হয়নি। ম্যাচের আগের দিন টিকিটের দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মোহনবাগান। তার পাল্টা দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলও।
এ বারের ডার্বিতে অনলাইন ও অফলাইনে ৩০০, ৩৫০, ৪০০ এবং ৫০০ টাকার টিকিট রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনে ১৫০০ এবং ৩০০০ টাকার টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে। টিকিটের দাম বাড়ানোর জন্য সমর্থকেরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার মোহনবাগান তাঁবুতে বসে সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, “যারা ম্যাচটা আয়োজন করছে তাদেরই দায়িত্ব টিকিটের দাম নির্ধারণ করা। ওরা হয়তো ঠিক মনে করেছে বলেই দাম বেশি রেখেছে। ইস্টবেঙ্গলে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করা কর্মকর্তারা রয়েছেন। ফুটবল নিয়ে তাঁদের অনেক বেশি চর্চা। তাঁরা সবাই মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পুজোর পর মানুষের হাতে এমনিতেই টাকাপয়সা কম থাকে। তার পরেও তাঁরা যদি এই দাম রাখতে পারেন তা হলে নিশ্চয়ই বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
তার পাল্টা ইস্টবেঙ্গলের কর্তা দেবব্রত সরকার বলেছেন, “আমি বলব টিকিটের দাম কমই রাখা হয়েছে। ক্রিকেট খেলা দেখতে মানুষ এত টাকা খরচ করেন। তা হলে ফুটবলে করবেন না কেন? এ ব্যাপারে সমালোচনা নয়, বরং টিকিট কিনতে উৎসাহিত করা উচিত। এতে বাংলার ফুটবলের ভাল হবে। যখন মোহনবাগান টিকিটের দাম বেশি রাখে তখন তো এত কথা হয় না।” অবশ্য তিনি মেনে নিয়েছেন, আগের মতো টিকিটের চাহিদা এ বারে নেই।
বস্তুত, দুই প্রধানের তাঁবুতে গিয়েও একই জিনিস দেখা গিয়েছে। অন্য বার ডার্বির আগের দিন তাঁবুতে একটা টিকিটের জন্য যে রকম হাহাকার থাকে তা এ বার উধাও। শুক্রবার দুপুরে মোহনবাগান তাঁবুর পাশে সাকুল্যে জনা পাঁচেক সমর্থককে টিকিট কাটতে দেখা গেল। ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে অবশ্য অনেককে লাইন দিয়ে টিকিট কাটতে দেখা গিয়েছে। তবে সার্বিক ভাবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের টিকিটের চাহিদা কম। হয়তো সেটা সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy